আজ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তুমি একটা ইডি দেখাবে।আমি হাজার হাজার কাগজ পাঠাব। দেখব তার পর কেস হয় কিনা। না হলে আমরাও আদালতে যাব। সবটাই তো ম্যানেজ করে রেখেছো।" মমতার অভিযোগ, কয়লা কাণ্ডে তৃণমূলের নাম টেনে আনলেও, এই মন্ত্রক কেন্দ্রের, বহু কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীই যোগাযোগ রেখেছেন কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে।
advertisement
ভোটহিংসা নিয়ে মমতার সাফ প্রশ্ন, এখানে মানবাধিকার কমিশন আসছে, ত্রিপুরায় প্রতিদিন মারছে, কোনও কমিশন যাচ্ছে না কেন! আজও মমতা বললেন, কমিশনের যে ব্যক্তি রিপোর্ট দাখিল করেছেন তিনি বিজেপির সদস্য। মমতা স্পষ্ট বলছেন, "আমি অন্ধ নই। আমি প্রয়োজনে তৃণমূল কর্মীদেরও গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছি। আপনি তদন্ত করুন। আপত্তি নেই৷ সব কটার চার্জশিট হয়ে গেছে। আমি সরকার চালালে আমি সরকারের সকলের। "
বিকাশ ভবনে শিক্ষকদের ধুন্ধুমার নিয়ে সরাসরি মুখ না খুলেও মমতা পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন দেখান কী ভাবে গত দশ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। ১ লক্ষ ৩০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সাড়ে ছয় হাজার অধ্যাপক নিয়োগ হয়েছে। তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিজেপি কন্ঠরোধ করছে শিক্ষক, আমলা ও সোশ্যাল মিডিয়ার, এই কথা বলেই মমতার আহ্বান তৃণমূল ছাত্রছাত্রীরা জাতীয় স্তরে ছাত্রপরিষদের গুরুত্ব আরও বাড়াতে।
আজ বক্তব্যের শুরুতে অবশ্য রাজনীতির ধারপাশ দিয়ে যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, গত দুই দশকে রাজনীতিতে আর যুবক আসছে না। সক্রিয় রাজনীতিতে কম বয়সি ছেলেমেয়েদের আহ্বান জানিয়ে মমতা ক্রমে এলেন মূল কথায়। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, ক্ষমতায় এসে আমাদের চ্যালেঞ্জ আরও বেড়ে গিয়েছে। ক্ষমতায় থাকলেও আমাদের কাজ মানু্ষের পাশে থাকা।
২০২১ নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা এদিন বলেন, দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার যখন পারে না, তখন এজেন্সি লেলিয়ে দেয়। ভোটহিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের তৎপরতাকে শ্লেষ করে মমতার মত, এই কমিশন গড়ার করার জন্যে আমি আন্দোলন করেছি। ২১ দিন ধর্না দিয়েছি। আজও রইল দলত্যাগীদের বার্তা। বললেন, "অনেকে ছেড়ে গেলেও আবার ফিরে এসেছে। কারণ তাঁরা জানে এটাই আশ্রয় তাদের।"