একদিকে যেমন এদিনের ভাষণে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তুলোধোনা করলেন জিএসটি থেকে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির মতো বিষয় নিয়ে, ঠিক তেমনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী বামেদের কটাক্ষের জবাবেও দিলেন যুৎসই জবাব। মনে করিয়ে দিলেন 'ফাইলের' কথা। তাঁর কথায়, "বিকাশবাবু গিয়ে বলছেন, তাঁরা দেখাচ্ছেন যে তাঁরা সাধুপুরুষ। ভাজা মাছটা উলটে করতে পার। বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে (দুর্নীতি) হয়েছিল। সেই ফাইলটা বের করব? 'বদলা চাই না' বলে এগুলো করিনি।
advertisement
এদিন শহিদ দিবসের সভা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশ ভেঙে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টি ভেজা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে অভিষেক তখন বক্তব্য রাখছেন, তার মধ্যেই জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া ধর্মতলায় হাজির হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃষ্টি শুরু হয়েছে তার আগেই। সেই বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চের দিকে এগিয়ে আসেন তিনি। তার পরেই, ঠিক বেলা একটা নাগাদ বক্তব্য শুরু করেন মমতা।
আরও পড়ুন : আমি দিদির মার্গ দর্শনে, শহিদ দিবসের মঞ্চে আবেগে ভাসলেন অনীত থাপা
মমতা শুরুতেই বলেন, "আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের কয়েকটি কথা বলতে চাই। যারা বৃষ্টিতে ভিজেছেন, তাঁরা আমার কথা না শুনে চলে যাবেন না তো? দেখলেন তো, ২১ সে জুলাই বৃষ্টি হয়। ঈশ্বরের কী আশীর্বাদ। বিজেপি কি হাসছিল, ভাবছিল তৃণমূল কংগ্রেসের মিটিংটা বোধহয় নষ্ট হয়ে গেল। কিন্তু তা হয়নি। বিজেপি সব জায়গায় সরকার ভাঙছে। এটাই ওদের কাজ। বাংলায় আমাদের হারানো এর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ওরা পারে নি। ২১ কখনও ভুলতে দেয় না। তাই তো বলি আবার ২১ ফিরিয়ে আনো বারবার। তৃণমূল কংগ্রেস থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী, সাস্থ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, পেনশন, ভাতা, পাবেন।"