TRENDING:

Mamata Banerjee: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অর্থসাহায্য বৃদ্ধিতে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাংলার মহিলারা!

Last Updated:

Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে কথা রাখেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় অর্থসাহায্য বাড়ানো হবে। সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতাঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়ে কথা রাখেন। তিনি কথা দিয়েছিলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় অর্থসাহায্য বাড়ানো হবে। সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। সেই কারণেই তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন বাংলার মহিলারা। ইতিমধ্যেই বাংলার ১.৯৯ কোটিরও বেশি উপভোক্তা বর্ধিত হারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অর্থসাহায্য পেয়েছেন। এই ইস্যুতে জোরদার প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement

চন্দননগরের বাসিন্দা সঞ্চিতা রায় বলেন, ‘‘আজ আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,০০০ টাকা ঢুকেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই আমি এই টাকা পেয়েছি। এর জন্য আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। জয় বাংলা।’’

আরও পড়ুনঃ ২ঘণ্টায় শুরু বৃষ্টি! দক্ষিণের কোন কোন জেলায় ঝড়বৃষ্টি? বড় আপডেট আবহাওয়ার

হুগলির বাসিন্দা এক বৃদ্ধা বলেন, ‘‘আজ ঘুম থেকে ওঠার পরই আমার মোবাইলে মেসেজ ঢোকে। আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,০০০ টাকা ঢুকেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ধন্যবাদ। তাঁকে আগামীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’’

advertisement

হুগলির বাসিন্দা আর এক মহিলার গলাতেও একই সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আগে আমি ৫০০ টাকা পেতাম। কিন্তু, আজ আমি ১,০০০ টাকা পেয়েছি। আমি প্রতিমাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাই। কোনও মাসেই এই টাকা পেতে কোনও সমস্যা হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের আমলে বাংলার অনেক উন্নতি হয়েছে। তিনি একজন অসামান্যা নারী এবং আমাদের কল্যাণে তিনি অসংখ্য পদক্ষেপ করেছেন।’’

advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা এক উপভোক্তা বলেন, ‘‘দিদির ৬৪টি প্রকল্পের মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি বিশ্বব্যাপী সম্মানিত হয়েছে। স্কুল পড়ুয়ারা সবকিছু পাচ্ছে – মিড ডে মিল থেকে শুরু করে বই, সবকিছু। দিদির জন্যই বাংলার মা-বোনেরা সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারছেন। তাঁদের ভারতের বাকি অংশের পরিবারগুলির মতো যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে না। এখানে কোনও স্ত্রীকে তাঁর হাত খরচের টাকা স্বামীর কাছ থেকে চাইতে হয় না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সহযোগিতার জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে।’’

advertisement

ব্যারাকপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় আর্থিক সহযোগিতা পাই। কন্যাশ্রী এবং স্বাস্থ্য সাথীর মতো প্রকল্পগুলি মানুষের ভীষণ উপকার করেছে।’’

এক বৃদ্ধা এরই সঙ্গে বলেন, ‘‘গত ৬-৭ বছর ধরে আমি বিধবা ভাতা পাচ্ছি। আমার পুত্রবধূ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়। মমতা দিদি আমাদের খুব ভালভাবেই রেখেছেন। আমাদের প্রার্থনা, আমরা যেন চিরকাল মমতা দিদির সরকারের দেখভালেই থাকতে পারি।’’

advertisement

উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জের মহিলারা বর্ধিত হারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়ার পর আনন্দে সকলকে মিষ্টিমুখ করান। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করে, তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত এই মহিলারা কার্যত উৎসবে মেতে ওঠেন। তাঁদেরই মধ্য়ে একজন বলেন, ‘‘আমরা আগে মাসে ১,০০০ টাকা করে পেতাম। এখন ১,২০০ টাকা পাচ্ছি। এই কারণেই আমরা দিদিকে সমর্থন করি। আগামী দিনেও করব।’’

আর একজন মহিলা বলেন, ‘‘আমাদের যখন যা প্রয়োজন হয়েছে, দিদি তখনই সেই বিষয়ে আমাদের সাহায্য করেছেন। আমরা কেবলমাত্র দিদির সরকারই চাই, মোদীর সরকার চাই না। তিনি শুধু মিথ্য়াচার করেন। আমরা যতদি বাঁচব, চাইব, দিদিই ক্ষমতায় থাকুন।’’

প্রতিশ্রুতি পালন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার জন্য জঙ্গলমহলের মহিলারাও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন। জঙ্গলমহলের বাসিন্দা কবিতা মোদী বলেন, রাজ্যের বাকি প্রায় ২ কোটি মহিলার মতো তিনিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় বর্ধিত আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। আর এক উপভোক্তা লিলি কয়াল বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার জন্য দিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’’ এই সমস্ত মন্তব্যগুলি থেকেই স্পষ্ট, বাংলাজুড়ে সকলেই দিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং সর্বত্রই তৃণমূল কংগ্রেসের জয়জয়কার চলছে। এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে যে আগামী ৪ জুন বাংলা থেকে বিজেপির চিরতরে বিসর্জন হবে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য বাজেট পেশের সময়েই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন এবং জানান, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় আর্থিক সাহায্য বাড়ানো হবে। এখনও পর্যন্ত ২.১২ কোটিরও বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা লাভ করেছেন।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
২ বছর ধরে নিখোঁজ ছেলে! সোশ্যাল মিডিয়ার 'জাদু'তে খুঁজে পেল পরিবার
আরও দেখুন

বর্তমানে এই প্রকল্পের আওতায় সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসে ৫০০ টাকার বদলে ১,০০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা মাসে ১,০০০ টাকার বদলে ১,২০০ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন। এই সহযোগিতা পেতে উপভোক্তাদের যাতে কোনও সমস্য়া না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরাসরি তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Mamata Banerjee: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মাসিক অর্থসাহায্য বৃদ্ধিতে আনন্দে উচ্ছ্বসিত বাংলার মহিলারা!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল