এরই সঙ্গে মমতা বলেন, ‘আগে আমাদের যোগ্যদের পরিস্থিতি ঠিক করতে দিন। আমি আবার ডাকব। বাদ বাকি যাঁরা থাকবেন যাঁদের অযোগ্য বলা হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে দেখব কী এভিডেন্স আছে। আমি আবার ডাকব। যোগ্য – অযোগ্যর মধ্যে লড়াই করবেন না। আমাদের তদন্তটা করতে দিন। আইনের ধারা অনুযায়ী কাজ করব। কারও চাকরি খাওয়া আমাদের ধর্ম নয়। শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরা যেন সেইভাবে কাজ করে যান।’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ‘আমি ভলান্টিয়ারির কথা বলছি, কোর্টের কথা মাথায় রেখে। কোর্ট আমাকে বলতেই পারে আমি বাতিল করলাম তুমি কেন যেতে বলছ? কিন্তু ভলান্টিয়ারি সার্ভিস সবাই দিতে পারেন। সরকার তো আপনাদের তাড়িয়ে দেয়নি। বুদ্ধি খরচ করুন।’
নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের আশ্বাস দিতে মমতা বলেন, ‘যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকাটা আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে চাইব। যোগ্যদের চাকরি আমি কাড়ব না। আমি আদালতে যাব। আমি আদালতের ক্ল্যারিফিকেশন নেব। আমাদের আদালতের নির্দেশ মানতে হবে। আমাদের রিভিউ পিটিশনও করতে হবে। যোগ্য-অযোগ্যর লিস্ট আমরা সুপ্রিম কোর্টে চাইব। পুরনো জায়গাতে ফেরার অপশন আপনাদের দিয়েছে। আমি আদালতের বিষয় মতোই কথা বললাম। চাকরি আমি যোগ্যদের খাব না। এটা মাথায় রেখে দিন।’
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্কে ঢুকে মহিলা বললেন, ‘টাকা তুলব’! চেক দিলেন ক্যাশিয়ারের হাতে, তারপর? এ কী লেখা?
তিনি আরও জানান, ‘সরকারকে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা করার অধিকার আদালত দেয়নি। আমরা আইনজীবী হিসাবে দিয়েছিলাম। আমরা নিচ্ছি অভিষেক মনু সিংভি, কপিল সিব্বল, রাকেশ দ্বিবেদী ও প্রশান্ত ভূষণকে বলতে বলেছি। এছাড়া ল ফার্ম থাকবে। নিশ্চিত করতে চাই, একটা ক্ল্যারিফিকেশন চাইব। যাঁরা চাকরি করছিলেন, তাঁদের কী হবে? যাঁরা স্কুলে পড়াতেন, পরীক্ষা নিতেন, তাদের কী হবে? স্কুল কে চালাবে? কাজ কী হবে? চাকরি খাওয়ার অধিকার আমাদের নেই। যাঁরা চাকরি দিতে পারবে না, তাঁদের চাকরি খাওয়ার অধিকার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধরুন ক্ল্যারিফিকেশনে বলল, চাকরি করা যাবে না। তাহলে মাইনাস হলে কী করব? আচ্ছা না বলাই ভাল, আমার মাথায় কিছু আছে। আশা করছি প্লাস হবে, যোগ্যদের চাকরি করার অধিকার দেবে। যদি না হয়, তাহলে সরকারের দায়িত্ব নিশ্চিত করার। আইনত করব। সরকার দায়িত্ব নেবে। মনে রাখবেন প্ল্যান এ, বি, সি রেডি।’
আবীর ঘোষাল