রাজ্যের দাবিদাওয়া আদায় করতে যে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন সে কথা জানানোর পাশাপাশি নিজের ক্ষোভের কথাও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বৈঠকে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়। সবার শেষে বলতে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন “সবার শেষে সূর্যাস্তের পর আমায় বলতে দেবে। ওদের কাছে সূর্যোদয়ের আগে আমার মুখ দেখা যায় না।”
advertisement
ক্রমবিন্যাস অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের নাম সব রাজ্যের শেষে থাকে, সে কথা উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমাকে হয়তো বলতে দেবে সবার শেষে রাত্রিবেলা। তা আর কী করা যাবে, আমায় বলতেও দিতে চায় না।”
নীতি আয়োগ ও যোজনা কমিশনের তুলনা টেনে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন “আগে যোজনা কমিশন ছিল,আমরা বলতাম। কাজ হতো।এখন তো নীতি আয়োগ।”
আরও পড়ুন: সানাইয়ের সুর, বিয়ের মণ্ডপ, এসেছেন নিমন্ত্রিতরাও! বর-কনে কারা..? দেখেই চক্ষু চড়কগাছ!
আরও পড়ুন: ‘তিহাড়ে উনি কেমন আছেন…?’ হঠাৎ অনুব্রতর খোঁজ দিলীপের! কোন রহস্য ফাঁসের ইঙ্গিত? তুমুল শোরগোল
তারপরেই তিনি বলেন “থাক আর কিছু বলব না। পুরোটাই জিরো জিরো জিরো।” তবে এ বারের নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কোন প্রসঙ্গ তুলবেন, সেই সম্পর্কেও জানালেন তিনি। তিনি বলেন “এ বার ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হবে।”
তবে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ আটকে রাখা নিয়েও প্রশ্ন তুলবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়েও যে স্বরব হবেন, সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত ১০০ দিনের কর্মসংস্থানের টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলে বারবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতেই এবা র সরাসরি প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে চর্চা চরমে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়