মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ''নিজেদের দফতরের কাজে মন দাও।'' সমস্ত মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে এমনই বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই নির্দেশের সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''নতুন কোনো স্কিম ঘোষণার আগে আমার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমার সঙ্গে কথা না বলে কোনো নতুন স্কিম ঘোষণা করা যাবে না।''
আরও পড়ুন: 'দরজা খোলা, দল থেকে বেরিয়ে যাক', চরম হুঁশিয়ারি অভিষেকের! নিশানায় কারা, জানেন?
advertisement
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘিতে পরাজয়ের পর দলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব হাজি নুরুল ইসলামের বদলে মোশারফ হোসেনকে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মোশারফ উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের তৃণমূল নেতা। এই সিদ্ধান্তের দিন কয়েকের মধ্যেই সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর থেকেও সরানো হয় গোয়ালপোখরের বিধায়ক গুলাম রাব্বানিকে। এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৩২ তৃণমূল নেতার ইস্তফা! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রার মধ্যে বিরাট চাপে শাসক দল
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদ থেকেই প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক দেশের অন্যত্র কাজ করতে যান। ফলে সংখ্য়ালঘু ভোটে ব্যাঙ্ক নিয়ে শাসক দলের অন্দরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরই দলের সংখ্যালঘু সেল ও সংখ্যালঘু দফতর নিয়ে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। যা আসলে সংখ্যালঘুদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এখনও সংখ্যালঘুদের বড় অংশই মমতা ও তৃণমূলের প্রতি আস্থাশীল। এই পরিস্থিতিতে মমতার মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।