যদিও এ দিন রেড রোডে ধরনা মঞ্চে পৌঁছে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, তিনি ধরনায় বসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হিসেবে৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়৷
আরও পড়ুন: হাজার হাজার কোটির হিসেব! কেন্দ্রের কাছে কোন খাতে কত পাওনার দাবিতে আজ ধরনায় মমতা?
advertisement
তিনি যে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসছেন না, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সেই অবস্থান স্পষ্ট করলেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে৷ ২০১৯ সালে কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই অভিযানের প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে কী করে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনায় বসলেন, সেই প্রশ্ন তুলে পাল্টা প্রচারে নেমেছিল বিজেপি৷
রাজনৈতিক মহলের মতে, সম্ভবত সেই বিতর্কের পুনরাবৃ্ত্তি এড়াতেই এবার আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ধরনায় বসলেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ এতে সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না৷
শুধু ধরনাই নয়, এর আগে নবান্নে বসেও মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন, এমন অভিযোগও উঠেছে৷ তার পর থেকে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে কোনও রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলার আগে বহু বারই সরকারি অফিসারদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে৷
আরও পড়ুন: রাজভবনে এবার জনসাধারণের প্রবেশের অনুমতি, মমতার হাতে চাবি তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি
রেড রোডে মমতার জন্য যে ধর্নামঞ্চ হয়েছে, তার পুরোটা জুড়েই রয়েছে তৃণমূলের নাম এবং প্রতীক৷ ফলে সেই মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনা শুরু করলে তা লুফে নিত বিজেপি৷
এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ' আপনারা জানেন আমার দুটো দায়িত্ব আছে। আজকের ধরনা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে না করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করছি।আমি বিজেপি-র মতো টাকার অপব্যবহার করি না৷ আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বে। আবার আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের চেয়ারপার্সন। আমি আজ দলের হিসেবে এই কর্মসূচি করছি৷'
এ দিন বেলা বারোটা নাগাদ রেড রোডে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পর বি আর আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদান করে ধর্না শুরু করেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে রয়েছেন তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক এবং সাংসদও৷