ভাইরাল ভিডিও-তে শ্রীকান্তকে বলতে শোনা যায়, 'মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সিদের অনেক বার বলেছি৷ দেবাদি দেব, মিমি, নুসরত, সন্ধ্যা রায়, জুন মালিয়া যাঁরা টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে, দল তাঁদের কথাই শুনছে৷ ভাল লোকের কথা শুনছে না৷ ওঁরাই নাকি দলের সম্পদ৷ চোর ডাকাতরা যদি দলের সম্পদ হয়, তাহলে তো সেই পার্টি করা যাবে না৷ পার্টি তো চোর, ডাকাতের কথা শুনবে, ভাল লোকের কথা শুনবে না৷ লোকে তো বলছে এই ক্যাবিনেটের সবাই চোর৷ তাহলে আপনাকে পথ দেখাতে হবে৷ হয় আশ্রমে চলে যেতে হবে, নাহলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷'
advertisement
আরও পড়ুন: পার্থ-অর্পিতার শুনানি শেষ ! জামিন? না জেল? প্রহর গুনছেন একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা
এই মন্তব্যের জন্য আগেই শ্রীকান্তকে শো কজ করে দল৷ এ দিনই জানা গিয়েছে, শ্রীকান্তর নিরাপত্তাও কমিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সূত্রের খবর এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী শ্রীকান্তকে ধমক দিয়ে বলেন, 'দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছে। এতে মন্ত্রিসভার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে৷ সিনিয়রদের সন্মান দাও। যাঁদের সম্পর্কে বলছে তারা তোমার থেকে বড়ো।বড়ো দের সন্মান দাও।'
এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ যে কারণে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল৷ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়েও মামলা দায়ের হয়েছে৷ এই অবস্থায় দুর্নীতি ইস্যুতে যথেষ্ট চাপে তৃণমূল৷