এদিন চিফ সেক্রেটারি আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সমস্ত হাসপাতাল, নার্সিং হোমকেই স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় রাখা হবে আবশ্যিক ভাবে। তবে চিকিৎসার রেট কী হবে তার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, "২০১৬ থেকে শুরু হয়েছিল স্বাস্থ্যসাথী। তখন অনেকে পেয়ে গিয়েছিলেন। তখন একটা অন্য রেট ছিল। কিডনির চিকিৎসায় একরকম রেট, আবার অন্য চিকিৎসায় অন্য রেট। কিন্তু এবার যেহেতু ১০ কোটি লোকের জন্য স্বাস্থ্যসাথী হচ্ছে, তাই রেটে কিছু বদল হবে। এমন রেট হবে, যা নার্সিং হোম ও মানুষের দুদিকের সামঞ্জস্যই বজায় রাখে।"
advertisement
আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে একটি কমিটি তৈরি হবে, যারা স্বাস্থ্যসাথীর নতুন রেট নির্ধারণ করবে। এই কমিটিতে থাকবেন স্বাস্থ্য সচিব, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থ সচিব। এঁরা হাসপাতাল ও নার্সিং হোমের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
তবে পুরনো স্বাস্থ্যসাথীর রেট এখন আর পাওয়া যাবে না। নতুন রেট অনুযায়ী পাওয়া যাবে। এছাড়া সাধারণ মানুষ ও নার্সিং হোম দুই পক্ষের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এইদিকে নজর রাখা হবে। জানান মুখ্যমন্ত্রী।
সব শেষে মমতা বলেন, "মনে রাখবেন যতই আমরা ব্যবসা করি , সামাজিক সুরক্ষা বলে একটা ব্যাপার আছে। সমাজ জীবনে সবার একটা সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। এমন নয় সরকার বিনা পয়সায় করছে। এর জন্য সরকারকে প্রতি পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি ছাড়তে হচ্ছে। ১০০টার মধ্যে একটা খুঁত পেলেই সেটা নিয়ে অর্ধেক কথা বলছে। এটা ঠিক নয়। সব কিছুতে রাজনীতি হয় না। ১০ হাজারে একটা ভুল হতেই পারে। হলে সংশোধন করে নেবেন। এতে লজ্জার কিছু নেই।"