বৃহস্পতিবার নব মহাকরণ ভবনের চাবি কলকাতা হাইকোর্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে বিচারপতি, বিচারক এবং আইজীবীদের সামনেই বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতার পক্ষে সওয়াল করতে শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পুজোর আগে এটা আমরা করতে পেরেছি। আমরা এর আগে জায়গার সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এমনকি দিল্লিতেও আলোচনা করেছিলাম। আমাকে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন যাতে হাইকোর্ট-এর কাছে বিল্ডিং হয়। আমাদের এই বিল্ডিং-এ ১৯ টি বিভাগ হয়েছে।"
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত কাণ্ডে 'হুমকি'! সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি ৮২ বাঙালি আইনজীবীর
এদিন মমতা বলেন, "কত মানুষ রোজ আদালতে আসেন। বিচারব্যবস্থা গণতান্ত্রিক দেশের স্তম্ভ। মানুষ তাই বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন। সুবিচারের আশায় দিনের পর দিন অপেক্ষা করে থাকেন। সব জায়গায় বিশ্বাসভঙ্গ হলে, বিচারব্যবস্থাই সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়। বিচার কখনও একপক্ষ হয় না, নিরপেক্ষ হয়।" এ দিন মমতা আরও বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশে বিচারব্যবস্থা, সংবাদমাধ্যম এবং গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর গুরুত্ব সংবিধানে উল্লেখিত রয়েছে। কোনও একটি বিশ্বাসযোগ্যতা হারালে বাকিগুলির উপর থেকে বিশ্বাস চলে যায়। এর উপর গণতান্ত্রিক দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে।"
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের 'প্রকৃত শিক্ষা' দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য! জাতীয় শিক্ষক সম্মান বাঁকুড়ার শিক্ষককে
মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ৮৮টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করে। এই মুহূর্তে ১৯টি মানবাধিকার কোর্ট রয়েছে। তিন-চার বছর ধরে বহু মামলা বকেয়া পড়ে রয়েছে। সেগুলির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক।" তিনি জানান, হিডকো ১০ একর জমি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জন্য। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিচারের স্বাক্ষী কলকাতা হাইকোর্ট। আইনের মাধ্যমে ভালো ভবিষ্যত্ আসা রাখি।"