ফিরহাদ হাকিম জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল দিল্লি পুলিশ। তবে এবার সবটা পরিষ্কার করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। কী হয়েছিল তাঁদের সঙ্গে? দিল্লির ঘটনায় ‘আক্রান্ত’ সাজিনুর পারভিন জানান, তাঁর স্বামী মুখতার খান। তাঁদের বাড়ি চাঁচল থানায়৷ সাজিনুর বলেন, ‘‘প্রথমদিন চারটে লোক বাড়িতে (দিল্লিতে) এল। বলেছিল আধার কার্ড দেখান। স্বামী কই। তখন ওনারা বলেন আপনারা বাংলাদেশি আপনারা পালাবেন না। ’’
advertisement
আরও পড়ুন: ভেঙেই ফেলা হবে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন! বাঁচানো গেল না আর…মাত্র ১৫ বছরেই কী ভাবে ফাটল
এখানেই শেষ নয়৷ এরপরেও চলে ধরপাকড়৷ সাজিনুর বলেন, ‘‘তারপর আবার চরজন (দুই মহিলা, দুই পুরুষ)। আবার বাংলাদেশি বলা হল। আমাকে ধরে নিয়ে গেল এবং অত্যাচার করল, আমাকে থাপ্পড় মারল। আমার বাচ্চাকে মারধর করল। কানে দাগ আছে। ২৫ হাজার টাকা দিলে ছাড়ব নয়ত ছারব না। শাশুড়ি টাকা নিয়ে আসে নির্দিষ্ট জায়গায়। আমাদের ছাড়ে। পরে আবার বাড়িতে পুলিশ আসে৷ আমাদের থানায় নিয়ে যায়। বলে পশ্চিমবঙ্গবাসী, মানেই বাংলাদেশি। লাল বাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসা করাননি। বহু জায়গায় সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: কীভাবে তৈরি হত নকল বার্থ সার্টিফিকেট…কোথা থেকে আসত আধার-ভোটার কার্ড? ফাঁস নতুন তথ্য
পরিবারের অভিযোগ সত্য বলে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, তিনিই এই পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছেন৷ দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবেন তারা। কলকাতাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হবে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায়কে মিথ্যে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিল দিল্লি পুলিশ সেটা আজ পরিষ্কার করে দিলাম।’’ জানা গিয়েছে, এরপর সব ব্যবস্থা করবেন ফিরহাদ হাকিম। আগামিকাল মালদহে পৌঁছে দেওয়া হবে তাঁদের৷