রাজ্যের আলোচনা প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানান, নবান্ন থেকে নয়, তাঁদের কাছে ই মেল এসেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবের কাছ থেকে৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, ‘আমরা স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি, অথচ তাঁর মাধ্যমেই আমাদের কাছে আলোচনায় বসার জন্য ই মেল পাঠান হয়েছে৷ ফলে এই ই মেলকে আমরা অপমানজনক বলেই মনে করছি৷’
advertisement
আরও পড়ুন: চলবে কর্মবিরতি, দ্রুত বৈঠকে বসতে চেয়ে নবান্ন থেকে ইমেল, প্রস্তাব ফেরালেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা
এর পাশাপাশি রাজ্যের পক্ষ থেকে পাঠান ই মেলে সর্বাধিক দশ জন চিকিসক প্রতিনিধিকে বৈঠকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের পাল্টা দাবি, এ ভাবে প্রতিনিধির সংখ্যা বেঁধে দেওয়া চলবে না৷ আলোচনার প্রস্তাবকে খারিজ করে দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা পাল্টা রাজ্যের মনোভাব কতটা সদর্থক, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন৷
তবে একই সঙ্গে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্যের পক্ষ থেকে সত্যিকারের কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাঁরা ভেবে দেখবেন৷
চিকিৎসকদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে নবান্ন থেকে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।মুখ্যমন্ত্রী নিজে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কোনও সাড়া ও পাওয়া যায়নি। আইনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সেটা মুখ্যমন্ত্রীই পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন৷’
প্রসঙ্গত, গতকাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে হবে৷ তা না হলে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে রাজ্য সরকার৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের কর্মবিরতি চলবে৷