এই পর্যন্ত হলে, তা-ও নয় ঠিক ছিল। কিন্তু, কী ভাবে যেন সেই কথা পৌঁছে গিয়েছিল তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কানে। ব্যাস! ভরা বৈঠকে, সক্কলের সামনে একেবারে কড়া ধমক। দলের বিধায়ককে বকা দিয়ে মমতা বললেন, "বেড়ালে কামড়ানোর চিকিৎসা চেয়ে তোমার কাছে গিয়েছিল ব্রজ৷ তুমি একটাও ব্যবস্থা করে কেন দাওনি?" এরপরে অবশ্য বিধায়কের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তা জানা যায়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: দলের দিকে এবার আরও বেশি নজর! পঞ্চায়েতের আগে প্রতি শুক্রবার জেলা ভিত্তিক বৈঠক করবেন মমতা
তবে শুধু ব্রজকিশোরই নন, এদিন মমতার কাছে বকা খান আরও অনেক নেতানেত্রী। দলের ট্যুইট রিট্যুইট করেন না বলে বকা খেলেন ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, সায়নী ঘোষ, মালা রায়, পরেশ পাল, অতীন ঘোষ, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়েরা। অন্যদিকে, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়, মালা রায়, অতীন ঘোষ, পরেশ পালকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিলেন মমতা। এরপরেই তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, খলিলুর রহমান ও আবু তাহের নাকি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।
মমতা এদিন বৈঠকে বলেন, ''নুরুল ইসলাম, তোমার কাজ সংখ্যালঘু সংগঠন শক্তিশালী করা। সেটা তুমি করোনি৷ আমার কাছে যা রিপোর্ট আছে তাতে তুমি জেলায় জেলায় যাওনি।" অন্যদিকে, ট্রেনের কামরায় বসে নিভৃত আলোচনায় দল নিয়ে বীরূপ মন্তব্য করায় মমতার কাছে তিরস্কৃত হতে হল দুই বিধায়ক ইদ্রিশ আলি এবং আখরুজ্জামানকে৷
সংগঠন আরও মজবুত করতে না পারায় এদিন তৃণমূলনেত্রীর সামনে ক্ষমা চান যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।