যাবে যাক, এটা বাংলা, উত্তর প্রদেশ নয়। হাথরসে আমিও প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম, ঢুকতে দেয়নি। আমরা সবাইকে অ্যালাউ করি। হাথরস, উন্নাও নিয়ে তো কিছু হয় না। এখানে তোমরা ঘটনা ঘটাবে, আর তারপর টিভি-তে বসে পড়বে। আমরা সবার বিচার করি। কাউকে ছাড়া হবে না।'' রাজ্যপালকেও নাম না করে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ''এখানে আছেন এক লাটসাহেব। সারা দিন বলছে বাংলা খারাপ। শিলিগুড়ি, দার্জিলিং সব জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আর নিন্দা করে যাচ্ছে।''
advertisement
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ''আসলে অশান্তি করতে পারছে না, মানুষ খেতে পারছে না একথা বলতে পারছে না। বাচ্চারা মিড ডি মিল পাচ্ছে না, একথা বলতে পারছে না।''
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংযোজন, ''আমরা কি কখনো চাই আমরা চাই কি কখনো রক্ত ঝরুক। কারা করে? যারা সরকার নেই, চক্রান্ত করে তারাই এই ধরনের ঘটনা ঘটায়।'' এদিকে, রামপুরহাট কাণ্ডে রাজভবন নবান্ন সংঘাত অব্য়াহত। চলছে চিঠি, পাল্টা চিঠি। গতকালই রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, "এইরকম একটি ঘটনায় রাজভবন তার মুখ বন্ধ করে রাখতে পারে না। আপনি বলছেন রাজ্য শান্তিপূর্ণ রয়েছে। নির্বাচন-পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছে তা দেখা গিয়েছে। সিটের বিশ্বাসযোগ্যতা কি রয়েছে? আপনি সবসময় সংবিধানকে এড়িয়ে গিয়েছেন।"