মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সেভাবে কোনও নতুনত্ব না পেলেও তাঁর এ দিন একটি উক্তি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কানে ঠেকেছে৷ দিল্লিতে বিরোধীরা সরকার গঠন করবে বলে দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি সেই সরকারে ‘হামাগুড়ি বাবু’ থাকবেন না৷’ ‘হামাগুড়ি বাবু’ বলে মুখ্যমন্ত্রী আসলে কাকে কটাক্ষ করলেন, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জোর কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে৷ তৃণমূলের অন্দরেও শুরু হয়েছে হামাগুড়ি বাবুর খোঁজ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘যোগী সবথেকে বড় ভোগী!’ চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই আদিত্যনাথকে জবাব মমতার
সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদ সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি ছড়িয়েছে৷ এই অবস্থায় বুধবার নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম, মোয়াজ্জেনদের নিয়ে সভা ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী একটা বছর ধৈর্য ধরতে হবে৷ অনেক পরিবর্তন হবে দিল্লিতে৷ আবার নতুন সরকার হবে৷ বিরোধীরা সরকার গঠন করবে এবং নতুন সরকারে আশা করি ‘হামাগুড়ি বাবু’ থাকবেন না৷ দরকার হলে যেদিন বিজেপি ক্ষমতা থেকে যাবে জনবিরোধী আইনগুলি সংশোধন করে সেগুলি বদলাতে হবে৷ ক্রাইসিস হলে ভবিষ্যতের জন্য অপেক্ষা করতে হয়৷ ঠান্ডা থাকতে হয়৷’
যদিও এই হামাগুড়ি বাবু বলতে তিনি কোন নেতাকে কটাক্ষ করলেন, তার কোনও ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী দেননি৷ ফলে ওই নেতা বিরোধী শিবিরের, নাকি বর্তমানে এনডিএ জোটে থাকা কোনও নেতা, তাও স্পষ্ট হয়নি৷ তবে বিরোধী শিবিরের প্রথম সারির মুখ যাঁরা, সেই শরদ পাওয়ার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদবদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্ক যথেষ্টই ভাল৷ সাম্প্রতিক কয়েকটি ইস্যুতে দিল্লিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমন্বয়ও বেড়েছে৷ ফলে বিরোধী শিবিরের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হামাগুড়ি বাবু বলে কটাক্ষ করেননি, এ বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত তৃণমূলের সিনিয়র নেতারা৷ ফলে আসলে হামাগুড়ি বাবু আসলে, সেই রহস্যভেদ করা সম্ভব হয়নি৷