এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন," স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন এমাসে ৭৫ লক্ষ টিকা দিয়েছে। কিন্তু আমরা হাতে পেয়েছি মাত্র ২৫ লক্ষ। আজকেও আমি প্রধানমন্ত্রীকে টিকা নিয়ে চিঠি দিয়েছি। দু'কোটি করে টিকা দিলেও তো আমাদের ছয় মাস লেগে যাবে। তখন তো তৃতীয় ঢেউ চলে আসবে।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এরপর পরিসংখ্যান ধরে ধরে রাজ্যের পরিস্থিতি যে অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় ভালো তা ব্যখ্যা করেন। তাঁর যুক্তিতে, কোভিড সংক্রমণের গড় ৮০০/৯০০ এর মধ্যে রয়েছে। অন্য রাজ্যে বাড়ছে, কেন বাড়ছে জানি না। রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ১.৫ শতাংশ। নির্বাচনের সময়ে এই হার ছিল ৩৩ শতাংশ। রাজ্যে এখন ৯৮% ডিসচার্জ রেট।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানালেন, ১.৮ কোটি প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৭০ লক্ষ দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। তার কথায়, ৫১ লক্ষ সুপার স্প্রেডারকে টিকা দিয়েছি আমরা। ভ্যাকসিন প্রয়োজন ১৪ কোটি। ঠিকমতো পাচ্ছি না। এখনও পর্যন্ত পেয়েছি ২.১২ কোটি। আমরা ৬০ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজেরাই কিনেছি। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট মত, "আমরাই টিকাকরণে সবচেয়ে ভালো সারা দেশে। টিকা নষ্টের হার (-৬). এটা সারাদেশে সবচেয়ে ভালো।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এক হাত নেন নরেন্দ্র মোদিকে। বলেন, "প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন উত্তর প্রদেশ নাকি সবচেয়ে বেশি করেছে। আপনি বন্যা ত্রাণে টাকা দেবেন না, জিএসটির টাকা দেবেন না এটা অন্যায়।ফারাক্কার জল চুক্তি সময় ৭০০ কোটি টাকা দেবে বলেছিল কেন্দ্রীয় সরকার সেটাও দেয়নি। বাংলার নামে বদনাম করছেন। পরাজিত হয়ে লজ্জা নেই। কিছু ইন্সটিটিউশনকে কাজে লাগাচ্ছেন। ওদের সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। তা উনি ওখানে নিজেদের রাজ্য কে বেশি টিকা দিন তাতে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। এখানে হেরেছে। তাও লজ্জা নেই। হার মেনে নিতে পারছে না।"