সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখলেন, ‘আজ এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকলাম! এইভাবেই হয়তো পরমপিতার আশীর্বাদে আমি বারংবার পৌঁছে যাই মানুষের মাঝে। আজ ভার্চুয়ালি বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের জনসভায় আমি উপস্থিত ছিলাম। সময়ের অভাবে গন্তব্যস্থলে সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও, আমার মন-হৃদয় পাত্রসায়েরের বাসিন্দাদের সঙ্গেই একাত্ম ছিল।’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমার পরিবারের পেছনে লেগে আছে’! অভিষেককে CBI তলবের পরেই এ কী ইঙ্গিত মমতার
মমতা আরও লিখলেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘ ২৫ দিন ধরে ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ কর্মসূচির মাধ্যমে সারা বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছেন, বাংলার মানুষের আত্মীয়, গড়ে তুলেছেন মানুষের সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক। সেই জন্যই হয়তো অনেকের গাত্রদাহ। আজ তাঁকে এই বিশাল কর্মযজ্ঞে ছেদ দিয়ে আসতে হল কলকাতায়। কিন্তু আমি আশাবাদী, কোনওরকম ষড়যন্ত্র, কোনওরকম চক্রান্ত আমাদেরকে মানুষের জন্য কাজ করতে রুখতে পারেনি, পারবে না। যতদিন আমার প্রাণ আছে ততদিন মানুষের এই উন্নয়নের ধারা বইবে গোটা বাংলা জুড়ে।
মমতার লেখায়, ‘আমরা সর্বদা সামাজিক সুরক্ষার মাধ্যমে রাজনীতি করে চলেছি। আর অন্যান্য দলগুলি করে চলেছে প্রতিহিংসার রাজনীতি। আসলে এই নব জোয়ারে গণদেবতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং অপরিসীম ভালোবাসা দেখে বহু রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্রে ভাটা পড়েছে। আমি কথা দিচ্ছি, মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদ-দোয়ায় যে দল তৈরি করেছিলাম, যে দল আজ দিবারাত্রি মানুষ সেবায় নিয়োজিত. সেই দলকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। আজ বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়েরবাসীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি সাক্ষাতে হৃদয় আবেগে ভরে উঠল। আপনাদের সুস্থতা, আপনাদের সমৃদ্ধি, আপনাদের সুখ, আপনাদের নির্মল হাসি, আমার জীবনের জিয়নকাঠি। আপনারা সকলে ভাল থাকুন এবং সুস্থ থাকুন।’