মমতা বলেন, চাকরিটা দিতে তো প্রসেস করতে সময় লাগবে। কিন্তু কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে জনস্বার্থ মামলা করে বাধা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁর কাছে কেউ এমন মেসেজও করেছেন, "আপনি যা খুশি করুন, আমাকে যদি এই টাকা না দাও, আমি পিআইএল করব।" মমতার কথায়, "এই মেসেজটা আমাকে কেউ করেছিল। অনেক কিছু বলা যায় না।"
advertisement
আরও পড়ুন : 'একটা মানুষ খারাপ হলে...', শিক্ষক দিবসে সমাজের নৈতিক চরিত্র গঠনের বার্তা মমতার
শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে এই মুহুর্তে জেল হেফাজতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। এখন আবার নতুন করে একাধিক তৃণমূলের বিধায়ক থেকে নেতাদের নাম জড়াতে শুরু করেছে। দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। নিত্যদিন বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে। নিয়োগে সরকারি গাফিলতি নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সোমবার কার্যত তারই উত্তর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন, বাম আমলের কথা তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আপনারা জানেন অনেক ডিপার্টমেন্ট আছে সিপিএম চলে গেলেও যে অত্যাচার আমাদের সঙ্গে করেছে, আমরা তো কারোর চাকরি খাইনি। তাঁরা নীচে বসে আছে গেটে এখনও। সিপিএম আমলের একটা খুঁজে পান তো আলমারি। একটা কাগজ পাবেন না। কাগজ আছে বলেই তো আপনি ভুলটা ধরতে পারছেন। আমাদের আমলে কাগজটা আছে। ওদের আমলে কাগজ একটাও নেই। আমরা পাইনি। আমরা ফাইল পাইনি। আমরা আলমারি পাইনি। আমরা কিছু দেখতে পাইনি।"
আরও পড়ুন : 'ফেরার' বিনয়ের সঙ্গে 'যোগ'! অভিষেকের বিরুদ্ধে এবার শুভেন্দুর 'বিস্ফোরক' দাবি!
এবারের শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং জয়েন্টের কৃতি পড়ুয়াদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দশে থাকা কৃতি পড়ুয়াদের, সিবিএসইস আইসিএসই এবং আইএসসি-র দশম ও দ্বাদশের প্রথম পাঁচে থাকা পড়ুয়াদের, এবং জয়েন্টেও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কৃতি পড়ুয়াদের, পাশাপাশি এসসি ও এসটি পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম একশোয় থাকা পড়ুয়াদের আজ সংবর্ধনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। শিক্ষকদের দেওয়া হয় শিক্ষারত্ন পুরস্কার।