বাঁধ ভাঙা নিয়ে সেচ দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে সেই সেচ দফতরের সচিবকে ভর্ৎসনার পাশাপাশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মমতার কথায়, 'দিঘায় গাফিলতির জন্য প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিঘার গাফিলতির তদন্ত হবে। সৈকতের রাস্তায় পাথরগুলি ঠিকমতো লাগানো হয়নি। তাই এটা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। আমপানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছিল, সেগুলি কোথায় গেল? সেগুলি কীভাবে কাজে লাগাবে, সে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'
advertisement
এদিন রীতিমতো 'হোম ওয়ার্ক' করে বসেছিলেন মমতা। রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন সেচ দফতরের কাজে। বলাবাহুল্য, তাঁর শাসনকালের শেষ কয়েক বছর সেচ দফতরের দায়িত্ব ছিল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারীর উপর। তাঁরা দুজনেই এখন বিজেপিতে। শুভেন্দু আবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, স্বয়ং মমতাকে হারিয়েছেন নন্দীগ্রামে। ফলে সেচ নিয়ে মমতার ক্ষোভ হওয়া স্বাভাবিক বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
ইয়াসে মোট ৫টি জেলায় মধ্যে মোট ২৯৩টি জায়গা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে গ্রামীণ এলাকার সেতু, তেমনই রয়েছে সুন্দরবন-সহ ও দিঘা থেকে শঙ্করপুর এলাকার বিস্তীর্ণ ১২ কিলোমিটার সমুদ্র ও নদী বাঁধ। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন, 'যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে আমাদের এখনই ১৫৭ কোটি টাকা লাগবে সবকিছু ঠিকঠাক করতে। আমরা সেতু ও বাঁধ বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পর্যবেক্ষণ করার পরেই কাজে হাত দেব।' যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন সেচ দফতরের থেকে।
একইসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, '৫ কোটি ম্যানগ্রভ সুন্দরবনে, ৫ কোটি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও ৫ কোটি উত্তর ২৪ পরগনায় ম্যানগ্রোভ লাগাতে হবে। বন ও পরিবেশ দফতরকে ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানোর প্রকল্প দেওয়া হোক।'