আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ইস্যুতে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “আমাদের ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রয়েছে। বিভিন্ন জাতি, বিভিন্ন ভাষা, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য। এক একটা রাজ্যে, এক একটা আঞ্চলিক সমস্যা আছে। এক একটা সময়ে, এক একটা রাজ্যে নির্বাচন হয়। কেউ স্থায়ী সরকার পায়, কেউ পায় না। কোথাও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হয়, কোথাও সংখ্যালঘু হয়। অনেক সময় সরকার হলেও কিনে নেওয়া হচ্ছে। এই যে সমস্যাগুলো…”
advertisement
মমতা বলেন, “একসঙ্গে নির্বাচন করালে আমার কী? আমাদের তো ভালই। একবার খাটতে হবে। কিন্তু, সমস্যাটা কী জানেন? যদি কোনও রাজ্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তা হলে কী হবে? তাহলে কি আমরা প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ গভর্মেন্টের দিকে চলে যাচ্ছি? এক দেশ, এক ভোট মানে আখের প্রেসিডেন্সিয়াল ফর্ম অফ ইলেকশন। যেটা আমেরিকায় রয়েছে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আমাদের ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের এখানে এক এক সময়ে এক একটা রাজ্যের নির্বাচন হয়। কেউ স্থায়ী সরকার পায়, কেউ পায় না। এখন ভারত সরকারেরই যদি ‘স্টেবিলিটি’ না থাকে, তখন কী হবে? ভারত সরকার পড়ে গেল! সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যগুলোও পড়ে যাবে?”
বিজেপি সরকারের সমালোচনা করতেও ছাড়েননি তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ” আপনারা দেখবেন, গত ৩ বছরে কী ভাবে ৩টি সরকারকে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রের সরকার! এক দেশ, এক ভোট হলে যে এমনটা হবে না, সে নিশ্চয়তা কে দেবে? এই বিষয়টি নিয়ে সহমত। কিন্তু বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাতে সহমত হতে পারছি না। কারণ, এটা সম্ভব নয়। এটা গ্রহণযোগ্য নয় এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর আঙ্গিকে এটা ঠিক নয়।”এই ইস্যু নিয়েই তিনি বক্তব্য পেশ করবেন বলে সূত্রের খবর।