আমফানের সময় সারা রাত নবান্নে জেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহল মহল বলছে, এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তার আগেই গোটা প্রস্তুতির নেতৃত্ব দিয়ে মমতা লেখেন, 'সমস্ত কর্মকর্তাকে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার আশ্রয়কেন্দ্রগুলির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চল থেকে মানুষকে সরিয়ে আনা হচ্ছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ দ্রুত শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
advertisement
কন্ট্রোল রুমের নম্বর শেয়ার করে মমতা ট্যুইটে লিখেছেন, 'মৎসজীবীদের অবিলম্বে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। যশের কারণে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তার নম্বপ- 1070 এবং 033-22143526। ত্রাণশিবিরগুলিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা, ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের কাজ কী ভাবে করা হবে তা নিয়ে অগ্রিম পরিকল্পনার পরামর্শও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিপর্যয় মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছে কুইক রেসপন্স টিমও।'
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৬ মে সন্ধ্যায় বা ২৭ মে ভোররাতে এ রাজ্যে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় যশ। আমফানের মতোই এ বার আগে থেকে জেলা প্রশাসনগুলোকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ক্ষয়ক্ষতি এবার যতটা কমানো যায়, সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে প্রশাসন। নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকেই রাজ্যের পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বারও তিনি নবান্ন থেকেই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখবেন বলে খবর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাজ্যে ৪০-৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। মঙ্গলবার হাওয়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭০ কিমি।