দলকে আরও বেশি করে জনমুখী করার বার্তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার থেকে পারফরম্যান্স দেখেই পদ। পুরনো-নতুন ভারসাম্য রেখেই চলতে হবে বলে জানান তিনি। জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করা তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মমতা।
তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, দলীয় শৃঙ্খলাই শেষ কথা। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বাঁকুড়ার ঘটনায় তার প্রমাণও মিলেছে।
advertisement
মমতার সাফ কথা, “লোকসভায় একাধিক আসন পেয়ে ঘরে বসে থাকলাম তা চলবে না। দল একাধিক কর্মসূচী নিচ্ছে। তার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে জনসংযোগ করায় কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। পারফরম্যান্স শেষ কথা। পদ আঁকড়ে বসে থাকলাম, আর ফল দিতে পারলাম না, এটা চলবে না।” তিনি জানান, পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে সাংগঠনিক নেতা প্রত্যেকে কে কী কাজ করছেন তার মূল্যায়ণ করবে দল।
মমতা জানান, নেতা ধরে পদোন্নতি আর নয়। কাজই হবে দলীয় পদোন্নতি ও ভোটে লড়ার মাপকাঠি। বেশি করে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। দলের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে। তাঁর কথায়, “সাংসদ হয়ে গেলাম মানে দিল্লি অভিমুখে চলে গেলাম তা নয়। নিজের এলাকায় নিয়মিত সময় দিতে হবে।”
আরও পড়ুন- উড়বে ড্রোন, বহুতলের ছাদ থেকে চলবে নজরদারি, ২১ জুলাই কেমন নিরাপত্তা ধর্মতলায়?
জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াবেন মমতা। জোটে থাকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দাদাগিরি না-পসন্দ। বিভাজনের রাজনীতি নয়, উন্নয়নের অস্ত্রেই বাজিমাত। ২১ জুলাইয়ের এলাহি আয়োজন ও প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে। ধর্মতলায় সমাবেশে
হাজির থাকবেন সব সাংসদ, বিধায়করা। হাজির থাকতে পারেন ইন্ডিয়া জোটে শামিল হওয়া দুই শরিকের প্রতিনিধিরা। আসবেন অখিলেশ যাদব, কিরণময় নন্দ ও উদ্ধব শিবিরের নেতারা। হতে পারে যোগদান, ২১শের মঞ্চেই।