আর এতেই ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সরাসরি তোপ দেগে বলেন, ”বেশি কথা বলবেন না, লজ্জা থাকা উচিত, আপনি কী করে বেড়ান, আমি জানি। আগে জিতে আসুন।”
advertisement
বিজেপি বিধায়কদের কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে কাউন্সিলর নির্বাচনে জিতে আসুন। আমাকে তো জোর করে হারানো হয়েছে। আমি জিতে দাঁড়িয়ে আছি।” এখানেই শেষ নয়, অসমের বিজেপি সরকারের দিকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘বাংলা ভাষায় কথা বললে কিছু রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে। বাংলাদেশি বলে সেই সমস্ত বাসিন্দাদের বিতাড়িত করা হচ্ছে।’
শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের নন্দীগ্রামের ফলের প্রসঙ্গও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে হাইকোর্টে মামলা গড়িয়েছিল৷ নন্দীগ্রাম থেকে শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলাও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, নন্দীগ্রাম থেকে তাঁকে হারানো হয়েছিল, কিন্ত তিনি ফের উপনির্বাচনে জিতে বিধানসভায় পা রেখেছেন৷
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম বিধানসভায় হারের পর ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২০১১ এবং ২০১৬ সালেও ভবানীপুর থেকেই জয়ী হয়েছিলেন তিনি৷ এ দিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে ফের সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তখনই হই হট্টোগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা৷ বক্তব্যের মাঝেই বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, বেশি কথা বলবেন না, লজ্জা থাকা উচিত, আপনি কী করে বেড়ান আমি জানি আগে জিতে আসুন৷ আমাকে হারানো হয়েছে, আমি আবার জিতে এসেছি৷
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তরুণ মাইতির প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে রাজ্যের মোট বকেয়া ৬৯১৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে মজুরি বাবদ বাকি ৩৭৩১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। আনুষঙ্গিক টাকা বাকি ৩১৮৭ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। বাংলার বাড়ি ও ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি কেন্দ্র৷ এটা নৈতিক অন্যায়। আমাদের টাকা অন্য রাজ্যকে দিয়েছে৷ ওনারা কিছু কমপ্লেইন পেয়েছিলেন। প্রায় ১৬০ কেন্দ্রীয় দল এসেছিল৷ এর পরেও টাকা দেয়নি। এটা আমাদের দূর্ভাগ্য না সৌভাগ্য জানিনা।