একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সাংসদ এবং জেলা সভাপতি আবু তাহের খান ও জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানকেও মমতার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দুই নেতাকেই হারের জন্য তৃণমূলনেত্রী তীব্র ভর্ৎসনা করেন বলেও খবর।
আরও পড়ুন: বিরাট বদল তৃণমূলে! নদিয়ার দায়িত্বে অরূপ, বাঁকুড়ায় মলয়! মমতার মাস্টারস্ট্রোক
advertisement
সাগরদিঘির উপনির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে হারতে হয়েছে শাসক দলকে। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে হার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা।
সাগরদিঘিতে হারের জন্য এর আগে বাম-কংগ্রেস-বিজেপি-র অনৈতিক জোটকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এ দিনের বৈঠকে দলের নেতাদেরই তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। সূত্রের খবর, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সাগরদিঘী কেন্দ্রে পার্টির অনেকেই সাবোতাজ করেছেন। আমি জানি এটা কারা করেছেন। আমি এই বিষয়টা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটছি। দলটা তো আপনাদেরও।'
আরও পড়ুন: অনুব্রত অতীত? বীরভূম দেখবেন খোদ মমতা! বিরাট দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ হাকিমও
এর পরেই মুর্শিদাবাদের সাংসদ এবং জেলা সভাপতি আবু তাহের খানের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আবু সাগরদিঘীতে আমাদের এই ফল কেন হল?' জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিরুল রহমানও দলনেত্রীর রোষের মুখে পড়েন৷ মমতা খলিলুরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'লজ্জা করে না?'
সাগরদিঘিতে হার কী কারণে, ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে৷ তার মধ্যে হারের অন্যতম কারণ হিসেবে সাগরদিঘিতে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে ক্ষোভ, সাধারণ মানুষের মন বুঝতে পারায় নিচু তলার নেতাদের ভুল এবং জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে নিচুতলার নেতা-কর্মীদের দূরত্বকে দায়ী করা হয়েছিল৷ সাগরদিঘিতে হারের পরই শাসক দলকে সংখ্যালঘুদের মনোভাব বুঝতে দলের সংখ্যালঘু নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সাগরদিঘির হার যে তিনি মোটেই ভাল ভাবে নেননি, তা এ দিন দলের নেতাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷