কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রি পেয়েছে রাহুল-সনিয়া-খাড়্গের কংগ্রেস৷ ধরাশায়ী মোদি-শাহ-নাড্ডার বিজেপি৷ ফলাফল প্রকাশের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেদিন তাদের জয়ের জন্য কংগ্রেসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘এই যে ঔদ্ধত্য, এ তার পরাজয়৷ অহঙ্কার, দুর্বিসহ ব্যবহার ও এজেন্সির পলিটিক্সের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ রায় দিয়েছেন৷ এটা আসলে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ হয়েছে৷’’
advertisement
পাশাপাশি, তিনি জোর গলায় বলেছিলেন, ‘‘এটাই বিজেপির শেষের শুরু৷ এর পর মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় আছে, সেখানেও বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত৷ ফলে ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপির জয়ের কোনও আশা নেই৷ ২০২৪-এর শেষের শুরু এটাই৷’’
নিজের বক্তব্যে বিজেপির তুলোধনা করলেও একবারও রাহুল গান্ধির নাম মুখে উচ্চারণ করতে দেখা যায়নি মমতাকে৷ যা নিয়ে জল্পনাও কম হয়নি রাজনৈতিক মহলে৷
রাহুল গান্ধি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কে হবেন বিরোধীদের মুখ৷ বিজেপি বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্যমঞ্চ তৈরির শুরু থেকেই এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল সর্বস্তরে৷ সেই কারণেই হয়ত তেমন করে দানা বাঁধেনি তৃতীয় ফ্রন্ট৷ তৃণমূলের থেকে দূরত্ব বেড়েছিল কংগ্রেসেরও৷
আরও পড়ুন: মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে বাড়ি! কালিয়াগঞ্জের ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন
তবে এদিনের মমতার এই মন্তব্য যে নিঃসন্দেহে চব্বিশের নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করছে, তা মনে করছেন রাজনীতির কারবারিদের অনেকেই৷
এর আগে, রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার বিরুদ্ধেও বিরোধীদের আন্দোলনে শামিল হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিকে৷ হিমাচল-কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়, রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো যাত্রা সাম্প্রতিক কালে বেশ খানিকটা মাইলেজ দিয়েছে ভারতের এই প্রাচীন দলকে৷ অন্যদিকে, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে তেমন দাগ কাটতে পারেনি মমতার দল৷ খোয়া গিয়েছে জাতীয় দলের তকমাও৷ তাই কি, চব্বিশের মুখ চেয়ে ধীরে ধীরে নরম হচ্ছে তৃণমূল? প্রশ্ন রাজনীতিবিদদের৷