জানা দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথেই শো-য়ের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিন নবান্নে পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি দিদি No1 এর অনুষ্ঠানে আসার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই রচনার বন্দ্যোপাধ্যায়ের এদিন এই অনুষ্ঠানের সেটে হাজির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে হয় শ্যুটিং। এই প্রথম কোনও মুখ্যমন্ত্রী বাংলার কোনও রিয়েলিটি শো’তে হাজির হলেন। জানা গিয়েছে, স্পেশাল এই এপিসোড জুড়ে দেওয়া হয়েছিল আদিবাসী নৃত্য। অনুষ্ঠানে নিজের জীবনকাহিনী, তাঁর লড়াইয়ের কাহিনি শোনান মমতা।
advertisement
ঘটনাচক্রে, আজ মমতার পঞ্জাবে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কৃষক বিক্ষোভের কারণে মমতা সেই সফর আপাতত স্থগিত রেখেছেন। ফলে শেষমুহূর্তে কোনও জরুরি কাজ না-থাকলে মমতা ওই দিন শুটিংয়ে তিনি ছিলেন বলে সূত্রের খবর।
ওই রিয়্যালিটি শোয়ের এই স্পেশাল এপিসোডে বেশ কয়েকটি রাউন্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সঠিক জবাবের জন্য উপহারও থাকছে। বাংলার লোকগান এবং বাংলা আধুনিক গান গাওয়া হয়েছে। সেগুলি নিয়ে মজার প্রশ্নোত্তর থাকছে। বস্তুত, ওই শোয়ের প্রথম রাউন্ডটিই হল ‘আমি বাংলায় গান গাই’।
দ্বিতীয় রাউন্ডটি হল ভোজনরসিক বাঙালির বাংলার খাওয়াদাওয়া নিয়ে। বাঙালির খাবার এবং খাওয়াদাওয়া নিয়ে প্রশ্নোত্তরের পাশাপাশি ফুচকা খাওয়ার বিষয় থাকছে। ময়দার লেচি বেলা এবং লুচি ভাজার প্রতিযোগিতাও থাকছে বলে জানা গিয়েছে।
তৃতীয় রাউন্ডটি হচ্ছে বাংলার খেলা, মেলা, পুজোপার্বণ নিয়ে। চতুর্থ রাউন্ডের নাম ‘দিদিরা দেবে গোল’। চতুর্থ রাউন্ডটি হল ‘বুদ্ধিমতী দিদি’ অথবা ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি’। এই রাউন্ডটি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার শাড়ি, গয়না, রান্না, মিষ্টি, দেবদেবী, মন্দির, পর্যটনস্থল এবং মনীষীদের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই রাউন্ডে শব্দছক, ধাঁধা, শূন্যস্থানের মাধ্যমে সহজ প্রশ্নোত্তর থাকবে।