ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘‘বৃষ্টি হলে রামধনু তৈরি হয় ৷ আজ ২২ দলের রামধনু ৷ ভারতের বিবিধতার দ্যোতক ৷ বিচারধারা আলাদা, কিন্তু এক ৷ মেঘ সরে যাচ্ছে ৷ মহাজোট তৈরি হচ্ছে ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ ৷ বিজেপিকে হঠাতে হবে, এটাই দেশের আহ্বান, সাধারণ মানুষের আহ্বান ৷ মোদি সরকার আর চাই না ৷ ৭০ বছরের ইতিহাসে প্রতিশোধের রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি এর আগে দেখা যায়নি ৷ একাধিক সরকার এর আগেও এসেছে ৷ কিন্তু, এমন মতভেদ, দ্বেষ এর আগে দেখা যায়নি ৷ বিহারে র্যালি হয়েছিল, তার পরেই নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ অমিত শাহের র্যালির পর কিন্তু নোটিশ দেওয়া হয়নি ৷ এটিই সরকারের দ্বিচারিতা ৷ কিছু বললেই, দেশদ্রোহী ঘোষণা করা হচ্ছে ৷ বিভাজনের রাজনীতি চলছে দেশজুড়ে ৷’’
advertisement
একইসঙ্গে বাংলায় বিজেপির রথযাত্রা নিয়ে যে দড়ি টানাটানি চলছে ৷ সেই নিয়েও রামধনুর মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন অভিষেক ৷ তিনি বলেন, ‘‘৪০ দিনের রথযাত্রার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি ৷ এই সরকার তা হতে দেয়নি ৷ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের মতকেই সমর্থন দিয়েছিল ৷ বিজেপি প্রাণহানির পরোয়া করে না ৷ তারা সস্তা রাজনীতি করে, ভোটের রাজনীতি করে ৷ হরিয়ানা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, যেখানেই হোক, সেখানে ভোট ভাগের সবথেকে বেশি লাভ নেয় বিজেপি ৷ ভোট বিভাজন রুখতে হবে ৷ ভোট ভাগ রুখলে গোরখপুর, ফুলপুরের মতো ফলাফল হবে ৷’’
প্রধানমন্ত্রী মহাজোট নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন ৷ সেই নিয়েও মোদিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার জিজ্ঞাসা, বিশ্বের সবথেকে অনৈতিক মহাজোট কাশ্মীরে হয়েছিল, তাতে মোদির ভাবনা কী ? আর সেই মোদিই জোট নিয়ে উপদেশ দেন ৷’’