🟠 ডিটেনশন ক্যাম্প ও ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আশঙ্কা
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বিজেপি সরকার এমন একটি সার্কুলার পাঠিয়েছে যা শুধু বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে কার্যকর হয়েছে। তিনি বলেন, “এই সার্কুলার আমাদের রাজ্যে পাঠানো হয়নি। ২রা মে তা পাঠানো হয় বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে। যাতে সন্দেহ হলেই এক মাস ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা যায়।”
advertisement
তাঁর বক্তব্য, এই নীতির ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাজারেরও বেশি বাঙালি আটক হয়েছেন, যা তিনি “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র” বলেই ব্যাখ্যা করেন।
🟠 বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর ‘আক্রমণ’
মমতা বলেন,
“বাংলা ভাষার ওপর চলছে অত্যাচার, বাঙালিদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। বাংলার মানুষ এটা কখনওই মেনে নেবে না।”
আরও পড়ুনঃ বর্ষায় জমিতে নামলেই সাপের ভয়? ৬ ফুটের জিনিসটা মাটিতে ছুঁড়লেই লেজ গুটিয়ে পালাবে ইয়া বড় বড় বিষধর!
আপনার পোস্ট অফিসে অ্যাকাউন্ট আছে? তাহলে এখনই এটা করুন, নইলে অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ হয়ে যাবে!
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে ঠিক কতজনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়ে কেন্দ্র এখনও কিছু জানায়নি।
🟠 রোহিঙ্গা বিতর্কে কটাক্ষ
তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও তোপ দাগেন কেন্দ্রকে। প্রশ্ন তোলেন,
“১৭ লক্ষ রোহিঙ্গা এখানে পেলেন কোথায়? সারা পৃথিবীতে যেখানে এত রোহিঙ্গা নেই, সেখানে এখানে এত রোহিঙ্গা এল কীভাবে?”
🟢 উন্নয়ন ও প্রকল্পের খতিয়ান
মমতা দাবি করেন,
- “গত কয়েক বছরে ৪০ শতাংশ বেকারত্ব কমিয়েছি।”
- “১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করলেও আমরা কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ দিয়েছি।”
- “বাংলার বাড়ি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ হলেও রাজ্য সরকার ১২ লক্ষ পরিবারকে ঘর দিয়েছে। ডিসেম্বরেও ১৬ লক্ষ ঘর দেওয়া হবে।”
- “স্কাইওয়াক, জগন্নাথ ধাম ও ফুরফুরা শরিফের উন্নয়ন আমরা করেছি। আমরা কথা বলি না, কাজ করি।”
🔴 বাম-কংগ্রেস-কেন্দ্র—তিন দিকেই আক্রমণ
বামেদের নিয়েও কটাক্ষ করে তিনি বলেন,
“ওরা সোশ্যাল মিডিয়ায় টাকা দিয়ে বিপ্লব করে। সবাইকে চোর বলে, দুর্নীতিগ্রস্ত বলে—এ এক নরকঙ্কালের দল।”
শেষে মমতা জানান,
“আমরা বহু সংগ্রাম ও অত্যাচার পেরিয়ে এখানে পৌঁছেছি। দিল্লিতে পরিবর্তন ঘটিয়ে বিজেপিকে রাজনৈতিক বিসর্জন দিতে পারলে দেশ বাঁচবে।”