মুখ্যমন্ত্রীর ধর্না চললেও, সচল রাখা হবে রেড রোড। আম্বেদকর মূর্তির সামনে তৈরি করা হয়েছে মূল মঞ্চ। এখানেই ধর্নায় বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূল মঞ্চের দু’পাশে তৈরি করা হয়েছে দুটি অস্থায়ী ছাউনি। সেখানে অন্যদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত গত মার্চ মাসে এখানেই ধর্ণা অবস্থানে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে গত নভেম্বর মাসেও বিধানসভায় আম্বেদকর মূর্তির সামনে অবস্থানে বসেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বিধায়করা।
advertisement
আরও পড়ুন: আজ থেকে রাস্তায় মাধ্যমিক স্পেশ্যাল বাস! কখন, কোন রুটে চলবে অবশ্যই জেনে নিন
প্রসঙ্গত, বার বার কেন্দ্রের কাছে দরবার করেও রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা পায়নি রাজ্য। ১০০ দিনের টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্র বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সব রাজ্য তাদের বকেয়া টাকা পাবে, কিন্তু বাংলা পাবে না। কারণ বিজেপির কাছে বাংলা মাথা নত করেনি। বিজেপি বলছে তাদের গেরুয়া রং মাখতে হবে, তাদের লোগো-নাম লাগাতে হবে। আমি তা কখনোই করব না। মরতে রাজি আছি তবুও মাথা নত করব না।”
আরও পড়ুন: হঠাৎ পরিকল্পনা, ঝটিকা সফরে দিল্লি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! কারণ ঘিরে শোরগোল
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিয়ে জবকার্ড উপভোক্তাদের ৪০ দিন কাজের ব্যবস্থা করেছে। আগামীতেও করবে।মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের সাফল্যে প্রতিহিংসাপরায়ণ বিজেপি সরকার। বাংলাকে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকার ১ লাখ কোটি টাকা পায়। ১০০ দিনের কাজে বকেয়া রয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই প্রকল্পের টাকা সরকার বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে কাজ করেও ন্যয্য মজুরি থেকে বঞ্চিত প্রায় ১৭ লাখ পরিবার। পাশাপাশি, আবাস যোজনায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। ১১ লাখ ৩৬ হাজার পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে পাকা বাড়ি থেকে।