পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে গত সপ্তাহেই ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন। পাশাপাশি সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বিএসএফ যে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে সেই প্রসঙ্গ তুলে গত সপ্তাহেই সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট দিয়েছিল ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, তার চেয়ে কম সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নয় বরং তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তার পরপরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন আজ, বৃহস্পতিবার দফায় দফায় বৈঠক করে।
advertisement
আরও পড়ুন– দেড় বছর পর কেতুর গোচর! উজ্জ্বল হতে চলেছে ৪ রাশির জাতক-জাতিকাদের ভাগ্য
সেই বৈঠকে আপাতত ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রিকুইজিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল পরে পরিস্থিতি বুঝে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানো হতে পারে বলেও কমিশন সূত্রে খবর। মূলত ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন রিকুইজিশন দিয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর ফের আরও ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ইকুয়েশন দিয়েছে কমিশন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে কমিশন সূত্রে খবর।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বলেন “আমি মনে করি ওরা আমাদের যত ঘাঁটাবে তত আমাদের ভোট বাড়বে। আমরা লড়ে নেব।” মূলত কোন কোন অঞ্চলে এবং কোন কোন স্পর্শকাতর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে, তা নিয়েও রাজ্য নির্বাচন কমিশন আজ, বৃহস্পতিবার বিকেলে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে চলেছে বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়