আরও পড়ুন : ২০২৪-এর মধ্যে বিরাট লক্ষ্য সরকারের! ঘোষণা রাজ্য বাজেটে, বহু মানুষ হবেন উপকৃত
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) এদিন বাজেট পেশের পর রাজ্য বাজেটে নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "উন্নয়নশীল সরকারের যা গর্বের মতো বিষয় সেই কৃষি ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে দ্বিগুণ বাজেট বরাদ্দ। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায় ২৫.২, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ১৯.৪ গুণ বরাদ্দ বেড়েছে।
advertisement
মমতা বলেন, "কৃষিতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে চলতি বাজেটে। ৩৩.২ গুণ বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে এই খাতে। ৭৮ লক্ষ কৃষককে সহায়তা দিচ্ছে রাজ্য। আগামী দিনে আবাসন আরও বাড়ানো হবে (Bengal Budget 2022)৷ গতবারের বাজেট ছিল ৩, ০৮, ৭২৭ কোটি। চলতি অর্থবর্ষে তা বাড়িয়ে হয়েছে, ৩,২১,৩০ কোটি।" মুখ্যমন্ত্রী বাজেটের প্রশংসার পাশাপাশি এদিন জোরালো সমালোচনা করেন কেন্দ্রের বকেয়া টাকার প্রসঙ্গেও। তিনি বলেন, "আমরা ৯০ হাজার কোটি কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাই। ওরা জিএসটি'র টাকা, আয়করের টাকা তুলে নিয়ে যায়। কেন্দ্রের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আছে। ওরা মাছের তেলে মাছ ভাজে। আর কেন্দ্র নাম রেখে বড়বড় চিঠি পাঠায়। আমফান ত্রাণ বাবদ ৩২৩১০ কোটি এবং ইয়াস-এর জন্য ৪২২২ কোটি পাই।
মমতা বলেন, "যারা বলে আমরা পেনশন দিই না তাদের জানতে হবে, এক মাত্র রাজ্য বাংলা যারা পেনশন দেয়। প্রায় ৫১ হাজার কোটি ঋণ ভার বাড়ল রাজ্যের। দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করতেও ছাড়েননি মমতা। বলেন, "এবার গ্যাস, পেট্রোলের দাম বাড়বে। ইকোনমি ফেল করেছে। মানুষের হাতে পয়সা নেই। মানুষের হাতে পয়সা দিলে অর্থনীতিটা সচল হয়।"
এদিন সামাজিক প্রকল্প গুলি নিয়েও সরব হন মমতা (Mamata Banerjee) । তিনি বলেন,"আমাদের একাধিক সামাজিক স্কিম আছে। সেইগুলোতেও কাজ হচ্ছে। কর্মসংস্থান (Bengal Budget 2022) হচ্ছে। তাজপুর, ডেউচা পাচামি, অশোকনগর ওএনজিসি কাজ হচ্ছে। ৯০% এর উপরে পরিবার রাজ্য সরকারের পরিষেবা পেয়েছে। এত কোভিড মহামারী, সাইক্লোন থাকা সত্ত্বেও আমাদের কাজ চলছে। কেন্দ্রকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ড্রেজিং করেনি কেন্দ্র। এমনকি ফারাক্কা নদী ভাঙ্গন থেকে শুরু করে ঘাটাল কোনও কিছুর জন্যই টাকা নেই। শুধু কেন্দ্রীয় এজেন্সির জোরে আর ইলেকশন মেশনারির জোরে চারটে ভোটে জিতে বাজনা বাজাচ্ছে। ২০২৪ লোকসভা নিয়ে এখন থেকে চেঁচাচ্ছে। বাংলায় হেরেও লজ্জা নেই৷ আমি অনেক বাজেট করেছি। কিন্তু এমন দেখিনি। আগে কখনও এমনটা দেখিনি।"