এ দিন কলকাতায় কালীপুজোর উদ্বোধন করতে গিয়ে নিজের সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, বহিরাগত বলতে তিনি রাজনৈতিক দলগুলিকে বুঝিয়েছেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বহিরাগত বলতে রাজনৈতিক দলগুলিকে বুঝিয়েছি৷ যাঁরা এখানে বাস করেন, তাঁদের সঙ্গে আছি৷ নির্বাচনের সময় বাইরে থেকে অনেককে নিয়ে এসে ফ্ল্যাট কিনে রেখে দেয়, গেস্ট হাউজে রাখে৷ তা নিয়েই আমি কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছি৷ সেটারই অন্য ব্যাখ্যা হয়েছে৷’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি দূর্গম এলাকা থেকে ফোনে কাউন্সিলর দের বকছিলাম। কখনও কখনও বকতে হয়। ভালোবাসতেও হয়। আমার কথাকে গদি মিডিয়া অপব্যাখ্যা করেছে। আমি সব ওয়ার্ড চিনি। সব বাড়ি চিনি। কারা কোথায় থাকে জানি। এখানে যারা থাকেন তাঁরা বাঙালির থেকেও বেশি।’
গত মঙ্গলবার ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে ফোনে উত্তরবঙ্গ থেকে দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ তখনই তিনি বলেছিলেন, ‘ভবানীপুরে বহিরাগতদের দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্ল্যান করে। বস্তি ভেঙে বড় বাড়ি করা হচ্ছে। এটা আমি সমর্থন করি না। এগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে।’
২০২৬-এ ভবানীপুরের রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে৷ কারণ ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ পাল্টা ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বও৷