মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে। এদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আরও পড়ুন: ৮০ বছর পর জার্মান ট্যাঙ্কের নিশানায় রাশিয়া! গুনে গুনে শেষ করার হুমকি দিলেন পুতিন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন এই সম্মান প্রদান করা হচ্ছে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গের উচ্চশিক্ষায় উন্নয়ন সংক্রান্ত অবদানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি লিট সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে।" এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মোট ৭৭০ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
advertisement
এদিন সেন্ট জেভিয়ার্সের নবনির্বিত প্রশাসনিক ব্লকেরও উদ্বোধন করবেন মমতা। সূত্রের খবর, এবার থেকে এই বিল্ডিংয়েই হবে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার এবং কন্ট্রোলারের অফিস।
সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরেই ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি মঙ্গলবার আগরতলা শহরে রোড শো করার কথা তাঁর। তারপরে মঙ্গলবারই কলকাতায় ফিরে আসবেন তিনি।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে আজ একগুচ্ছ কর্মসূচি অমিত শাহের
মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবেই কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্য়ালয় স্তরে উন্নীত হয়েছিল সেন্ট জেভিয়ার্স। পরে নিউটাউনে তৈরি হয় নতুন ক্যাম্পাসও। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ক্যাম্পাসের উদ্বোধনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই হয়েছে। এবার সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই মমতাকে ডিলিট সম্মান দিতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি লিট সম্মানে ভূষিত করেছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে ডি লিট সম্মান নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেই সম্মান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়