এ দিন নবান্ন সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আমফানে রাজ্যে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৬ কোটি মানুষ৷ দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে এবং এলাকা পুনর্গঠন নিয়েই এখন সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ এরই মধ্যে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক বাংলায় ফেরায় রাজ্যে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে৷
advertisement
ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ লোক এসে গেলে আমরা কী করতে পারি? কেন্দ্র যদি আমাদের কথা শুনে একটু সাহায্য করত, রেল যদি একটু আমাদের কথা শুনত, তাহলে অসুবিধা হত না৷ ১৫ দিনে ধীরে ধীরে সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া যেত৷ কিন্তু একসঙ্গে ২ লক্ষ মানুষ চলে এলে কী করব? এত মানুষের মেডিক্যাল টেস্ট কোথায় হবে?'
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, 'এর পর যদি বাংলায় হাজার, হাজার লোকের করোনা হয়, তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নেবে তো? আপনারা চান বাংলাটা মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি হয়ে যাক৷ অন্য রাজ্যে যাঁরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের জন্য আমরা সমবেদনা জানাই৷ আমরা এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি চাই না৷ এই কারণেই তো কন্টেইনমেন্ট জোনে আটকে রাখার কথা বলা হয়৷ কিন্তু আজ একটা এলাকার মধ্যে সংক্রমণ বেঁধে রাখা হচ্ছে না৷ আগামী দিনে কী হবে জানি না৷'
এ দিনই রাজ্যে ১১টি ট্রেন আসছে৷ কেন্দ্র এবং রেলের ভূমিকায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ওরা আমাকে পলিটিক্যালি ডিস্টার্ব করতে গিয়ে বাংলার কেন সর্বনাশ করছে আমি জানি না৷ দুর্যোগ সামলাব, নাকি আপনাদের রাজনীতি সামলাব?'
এই পরিস্থিতিতে সরাসরি এ দিন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যে ফেরা বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা যাতে কেন্দ্রই করে, কটাক্ষের সুরে সেই প্রস্তাবও দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরেছেন৷ তাঁদের অনেকেই করোনা পজিটিভ বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷