ট্যুইটারে মমতা লেখেন, 'দীর্ঘ সংগ্রামের পর আজকের দিনে দশ বছর আগে আমরা সিঙ্গুরের জমি পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ করিয়েছিলাম৷ কৃষকদের অধিকারের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করে তাঁদের ক্ষোভ প্রশমন করেছিলাম৷ এর ফলে তাঁদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছিল৷'
একই সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রকে বিঁধে মমতা লিখেছেন, 'অথচ আজ গোটা দেশ জুড়ে কৃষক ভাইদের দুর্দশা সত্ত্বেও কেন্দ্রের উদনাসীন মনোভাব দেখে যন্ত্রণা হয়৷ আমাদের সমাজের যাঁরা শিরদাঁড়া তাঁদের মঙ্গলের জন্য আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে৷ কৃষকদের অধিকার রক্ষা করাই আমাদের অগ্রাধিকার৷ '
advertisement
নতুন কৃষি আইনের বিরোধিতায় গত কয়েক মাস ধরে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন চলছে৷ এই আন্দোলনে প্রথম থেকেই সমর্থন জানিয়েছে তৃণমূল৷ কয়েক দিন আগে কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত কলকাতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করে গিয়েছেন৷
বাংলায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির একজোট হওয়ার সম্ভাবনা জোড়াল হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশের কৃষকদের সমর্থন পেলে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রেও বিজেপি-র বিরোধিতা আরও জোরাল ভাবে করা যাবে৷ শুধু রাজনৈতিক কারণ নয়, সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামের সঙ্গে মমতার আবেগও জড়িয়ে৷ সিঙ্গুরের জমি পুনর্বাসন আইনের দশম বর্ষপূর্তিতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে কৃষকদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে মমতা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর পথ থেকে সরছেন না তিনি৷