বিষয়টি নিয়ে এ দিন প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জন বার্লার নাম না করেও বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাংলার আরও দুই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীর ইস্তফা নিয়েও বিজেপি-কে খোঁচা দিয়েছেন তিনি৷ এ দিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বাবুল সুপ্রিয় খারাপ হয়ে গিয়েছে৷ ওই রাজবংশী মহিলাকেও (দেবশ্রী চৌধুরী) নাকি ইস্তফা দিতে বলেছে৷' জন বার্লার নাম না করেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ওরা কাকে মন্ত্রী করবে, কাকে সান্ত্রি করবে, কাকে তুলে আনবে, কাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে, এটা ওদের দলের বিষয়৷ বিজেপি দলটা নিজেরাই সবথেকে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী৷ মানুষের সময় খারাপ হয় আর বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ হয় তখন এই সব শক্তিকেই খুঁজে বেরায়৷ কিন্তু এই সব শক্তি পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়৷ এরা কোনও কাজে লাগবে না৷ এতে বিজেপি সন্তুষ্ট হতে পারে, কিন্তু মানুষের কোনও কাজে লাগবে না৷'
advertisement
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, জন বার্লার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন, তাঁকে মন্ত্রী করে আদিবাসীদের মন জয় করা গেল৷ আবার শক্ত ঘাঁটি উত্তরবঙ্গ থেকে নীশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে আরও একজন সাংসদকেও মন্ত্রী করা গেল৷ ২০২৪ সালের কথা ভেবেই উত্তরবঙ্গে দলের রাশ আলগা হতে দিতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব৷ পৃথক রাজ্য হোক না হোক, অনুন্নয়নের জিগিড় তুলে সেই দাবি বজায় রাখতে পারলে তা যে তাঁদের রাজনৈতিক সুফল দেবে, তা বিজেপি রাজ্য নেতাদের মতো কেন্দ্রীয় নেতারাও বুঝে গিয়েছেন৷ তার উপর প্রকাশ্যে এই দাবির বিরোধিতা করলে দলেরই বহু বিধায়ক, নেতা বেঁকে বসতে পারেন৷ সেই আশঙ্কাও রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের৷ এই সমস্ত অঙ্কেই সম্ভবত পৃথক উত্তরবঙ্গের মতো বিতর্কিত দাবি তুলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে গেলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ৷ তবে গত কয়েকদিন ধরে এই দাবি অবশ্য জন বার্লার মুখে আর শোনা যায়নি৷