তবে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শপথে নরেন্দ্র মোদি ‘ডাক’ পাননি, এমনটা একেবারেই নয়। বরং গত পরশু সস্ত্রীক দিল্লি গিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন হেমন্ত। ‘শরিক’ দলের নেতা রাহুল গান্ধিকেও আমন্ত্রণ জানান তিনি। রাহুল স্বাভাবিক ভাবেই রাঁচি এলেও, নরেন্দ্র মোদি কিন্তু আসেননি। ফলে ‘শপথে’ এবারের জন্য আর আসা হল না মোদির।
আরও পড়ুন: এক্সপায়ারি ডেট পেরনো ওষুধ খেলেই শরীরের ক্ষতি? নাকি আছে অন্য ‘গল্প’! শুনলে কিন্তু চমকে উঠবেন
advertisement
এদিকে, হেমন্তের শপথ ঘিরে সাজো সাজো রব রাঁচির মোরাদাবাদী ময়দানে। ইন্ডি-জোটের নেতারা আজ প্রায় সকলেই এক মঞ্চে উপস্থিত হন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুল গান্ধি, তেজস্বী যাদব-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী। তবে, মমতা মঞ্চে উঠতেই যেভাবে ‘দিদি, দিদি’ চিৎকার শুনতে পাওয়া যায়, তাতে ঝাড়খণ্ডেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার আঁচ পাওয়া গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ভোটে জিতে মমতাকেই প্রথম ফোন করেছিলেন হেমন্ত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে শপথে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানান তিনি। কিন্তু সময়াভাবের কথা জানিয়ে মমতা হেমন্তকে জানিয়েছিলেন, দলের কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতাকে তিনি শপথে পাঠাবেন। কিন্তু তাতে কিছুতেই রাজি হননি হেমন্ত। তিনি ‘দিদি’কে সাফ জানিয়ে দেন, তাঁর সময় পেলেই শপথের দিনক্ষণ, নির্ঘণ্ট চূড়ান্ত করা হবে। অবশেষে ‘ভাই’য়ের ডাকে সাড়া দিতেই হয় ‘দিদি’কে।
এদিন শপথ গ্রহণ মঞ্চে শিবু সোরেনের পাশের চেয়ার বরাদ্দ করা হয়েছিল মমতার জন্য। অর্থাৎ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসার চেয়ারের ক্ষেত্রেও স্পষ্ট হয়ে যায়, সোরেন পরিবারের কতটা ঘনিষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটের প্রায় সব দলের নেতাকেই বারংবার মমতার সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায়। যা দেখে অনেকেই বলছেন, ইন্ডিয়া জোটের কে মুখ, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে ‘দিদি’কে ঘিরে রীতিমতো ‘ফ্যান ক্লাব’ গড়ে উঠেছে।