মুখ্যমন্ত্রী বাজেট পেশ করার সময় জানিয়েছেন, প্রথম ব্রিজ হবে উল্টোডাঙা থেকে পোস্তা বাজার পর্যন্ত। দ্বিতীয় ব্রিজ হবে পাইকপাড়া থেকে শিয়ালদহ স্টেশন অবধি। তৃতীয় ব্রিজ হবে জীবনানন্দ সেতু থেকে টিপু সুলতান মসজিদের কাছে দেশপ্রাণ শাসমল রোড মোড় পর্যন্ত। যা যাবে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড বরাবর। চতুর্থ উড়ালপুল হবে রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক রোড বরাবর গড়িয়া থেকে যাদবপুর পর্যন্ত।
advertisement
এ ছাড়াও শহর এবং শহরতলিকে যানজট মুক্ত করতে আরও বেশ কয়েকটি উড়ালপুলের কথা শোনা গিয়েছে৷ তার মধ্যে রয়েছে যশোর রোড থেকে ভিআইপি রোড, বাঙুর থেকে উল্টোডাঙা, রুবি থেকে কালিকাপুর, নিউ টাউন থেকে ই এম বাইপাস, মা উড়ালপুল থেকে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ সহ আরও কয়েকটি উড়ালপুলের কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একসঙ্গে এতগুলি উড়ালপুলের ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পথ মসৃণ হবে, সরকারও মসৃণ ভাবে চলবে৷' কলকাতার পাশাপাশি নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া সংযোগকারী সেতুর কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
ইতিমধ্যেই রাজ্য নগরোন্নায়ন দফতর সূত্রে খবর, এই চারটি সেতু নিয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন এই প্রকল্পের জন্যে বরাদ্দ থাকছে ২৪৭৫ কোটি টাকা। কলকাতা শহরে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। এ ছাড়া বেড়েছে অফিসও। বেড়েছে কর্ম সংস্থানের সুযোগ।
ফলে যানজট বাড়ছে প্রতিদিন। এই অবস্থায় শহরের যানজট কমাতে এক বছর আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নয়া উড়ালপুল বানানো হবে। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ বার দ্রুত কাজ শুরুর দিকে ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যে চারটি রুট বাছাই করা হয়েছে সেগুলি সবকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কিন্তু যানজট হবার কারণে যাতায়াতের অসুবিধা তৈরি হয়। এই অবস্থায় সেতু বানানো হলে যানজট মোকাবিলা অনেক সহজ হবে বলে মত গণ পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের।
মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাবিত যে চারটি উড়ালপুলের কথা বললেন, তার সব ক’টি রুটে ইতিমধ্যেই কেএমডিএ সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস এই উড়ালপুল নির্মাণের বিষয়ে কাজ এগিয়েছে সমীক্ষার জন্যে। সূত্রের খবর, আর একটি পথ বাছাই করা হয়েছিল। যদিও পার্ক সার্কাস থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি প্রস্তাবিত উড়ালপুল ঘিরে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ, এই উড়ালপুলের রাস্তায় মাটির নীচে একাধিক পাইপ লাইন রয়েছে। এর মধ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইন সবচেয়ে বেশি।
তাছাড়া প্রস্তাবে রয়েছে মা উড়ালপুলের যে শাখা রয়েছে তার পাশে থেকে বা নীচ দিয়ে উড়ালপুল বানানো নিয়ে সমস্যা থাকতে পারে। তবে এই পথে বহু মানুষ যাতায়াত করেন। গাড়ির চাপ অনেক বেশি তাই উড়ালপুল প্রয়োজন।
বাকি উড়ালপুলের সমীক্ষার কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণ, বিকল্প রাস্তার সন্ধান,পুনঃবাসন এই সব বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মানুষের প্রয়োজনে দ্রুত সব প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে।
Abir Ghosal
