মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী নিয়ে কথা হবে সেই প্রসঙ্গে অনীত বলেন, ''ভেঙে পড়া সিস্টেমকে প্রথমে ঠিক করতে হবে। সিস্টেম ঠিক হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।'' জিটিএ নির্বাচনে সাফল্য নিয়ে তিনি বলেন, ''আমাদের একটাই ন্যারেটিভ ছিল, যতক্ষণ না আমরা সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করব পাহাড়ে উন্নয়ন হবে না, বেকারত্বের সমস্যার সমাধান হবে না। পাঁচ বছর আমরা এই নিয়ে সংঘর্ষ করেছি। এখন মানুষ বুঝতে শিখেছে।''
advertisement
আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের সঙ্গে বৈঠকে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি, তীব্র হচ্ছে গুঞ্জন
গোর্খাল্যান্ড নিয়ে অবশ্য অনীত বলেন, ''গোর্খাদের জন্য গোর্খাল্যান্ড তো আছে। কিন্তু যতক্ষণ না হচ্ছে, ততক্ষন যে সিস্টেম আছে, সেই সিস্টেমে কাজ করতে হবে।'' আলাদা রাজ্য প্রসঙ্গ নিয়ে অনীতের সংযোজন, ''এই সেন্টিমেন্ট তো আমাদের ওখানেও আছে। কিন্তু যতক্ষণ হবে না, যে দেবে বিজেপি সরকার এম পি রাজু বিস্তা এখন বলছেন এই বিষয়ে কথা না বলতে। কী করব, মুখ্যমন্ত্রী তো সততার সঙ্গে বলছেন হবে না, অন্তত মুখ্যমন্ত্রী তো গোর্খাদের প্রতি সৎ রয়েছেন। উনি তো সততার সঙ্গে বলছেন, যা হবে দেবেন, যেটা হবে না সেটা দিতে পারবেন না। অন্তত উনি সৎ। গোর্খারা পনেরো বছর বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, কী পেয়েছি আমরা বলুন তো! এ জন্যই যে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।''
আরও পড়ুন: রাতে পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যুবক, বড়সড় পদক্ষেপ এবার! অভিযুক্তেরও আজব দাবি
এ বার জিটিএ ভোটে ৪৫টি আসনের মধ্যে ৩৬টি আসনে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা প্রার্থী দেয়। বাকি ৯টি আসনে তারা নির্দলদের সমর্থনের কথা বলেছিল। কিন্তু বিরোধীদের দাবি, ৯টি নয়, ১০টি আসনে অনীত তৃণমূলকে পরোক্ষে সমর্থন করেছে। দুই দলের পতাকা একসঙ্গে নিয়ে প্রচারও হয়েছে জিটিএ-র তরাই এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ভোটের ফল প্রকাশের পরে জানিয়েছেন, অনীতদের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা হয়েছিল। অনীতের দল ২৭টি আসন জিতেছে। তৃণমূল ৫টিতে। হামরো পার্টির ৮টি আসন ছাড়াও ৫ জন নির্দলও আছে। তৃণমূল জিটিএ-র সহযোগী দল হিসেবে বোর্ডে যাবে, না কি বাইরে থাকবে, তা অনীতের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরই স্পষ্ট হবে। পাহাড়়ের তৃণমূল নেতাদের একটা অংশ বোর্ডে অংশ নিতে ইচ্ছুক। তবে সবই রাজ্য নেতৃত্ব ঠিক করবেন বলে সূত্রের খবর।