সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘আজ আমার কাছে একটা চিঠি এসেছে, বিদেশিদের খোঁজে, এনআরসি করার জন্য৷ এই সব নিয়ে আমাদের বন্ধ করা যাবে না৷ পাসপোর্ট তো ওদের কাছে আছে৷ আমার আবেদন, বিজেপিকে একটা ভোটও দেবেন না৷ আমি জানি, বিজেপি-র মধ্যেও অনেকে খুশি নন, তাঁদেরও আমি আবেদন করছি৷’
advertisement
এর পর দু’হাজার টাকা নোট বাতিল নিয়ে মমতা বলেন, ২০০০-এর নোট যখন নিয়ে এসেছিল, তখন বলেছিলাম, ১০০০-এর নোট দিয়েই জনতার হয়ে যাবে, তার পর আবার দু’হাজার কেন৷ এটা কি ধামাকা? দেশ এর সব মানুষ কষ্টে আছে৷’
বিজেপিকে একই সুরে আক্রমণ করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ পাশাপাশি মমতার লড়াইয়ের প্রশংসাও করেন তিনি৷ মমতা প্রথমেই বলেন, ‘আমাদের একটা সৌজন্য বৈঠক ছিল। বিশেষ করে দিল্লীতে যে অত্যাচার চলছে.. সৎ ভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে এর সরকার কে কাজ করতে দিচ্ছে না। ওরা সব কন্ট্রোল করতে চাইছে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেওয়ার পর কেন্দ্র যে অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসছে, এটা সুযোগ সব বিরোধী পার্টি গুলোকে একজায়গায় নিয়ে আসতে পারে তাহলে রাজ্যসভায় ওদের হারানো যাবে। আমরা পার্টি গত ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা রাজ্যসভায় সমর্থন দেব।’
কেজরিওয়াল এর পরেই বলেন, ‘সব সময় দিদির ভালবাসা আমরা পাই। ২০১৫-তে আমাদের সরকার যেই তৈরি হল একটা নোটিফিকেশন করে আমাদের সব ক্ষমতা কেড়ে নিল। ৮ বছরের পর সুপ্রিম কোর্ট রায় দিল। তারপর কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স এনে দিল। গণতন্ত্র কে ওরা বোকা বানিয়ে রেখেছে। বিজেপির যেখানে সরকার হয় না, সেখানে ইডি, সিবিআই-এর ভয় দেখিয়ে সেখানে ওদের সরকার তৈরি করে দেয়।’
মমতা শেষে বলেন, ‘এরা নির্বাচনে লড়বে আর আপনারা সব ক্ষমতা নিয়ে নেবে। বিজেপি পার্টি কে সরাতে আমরা সবাই একসঙ্গে লড়বো৷’