উৎসবের মরসুম কেটে গেলেই রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তখন আর সে ভাবে কর্মীদের একত্র করার সুযোগ না-ও মিলতে পারে বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তাই পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে প্রস্তুতি নিয়ে বেশ কিছু কথা দলের সর্বস্তরের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এই বৈঠকে সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে ডাকা হয়েছে, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্যদেরও। এই বৈঠকে গ্রামীণ প্রশাসন থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই সরাসরি বুথকর্মীদের মুখোমুখি হবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: একে একে নিশানায় পার্থ-অনুব্রত-মলয়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলল তৃণমূল!
তাঁদের সঙ্গেই বার্তালাপ করে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন মমতা। কারণ এই বৈঠকের ঠিক এক দিন আগেই তিনি বৈঠকে বসছেন রাজ্যের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানও তিনি গ্রামীণ স্তরের উন্নয়নের খতিয়ান নেবেন ওই আধিকারিকদের কাছ থেকে। তার পর দিনই নিজের দলকেও বৃহত্তর স্তরে গণসংযোগের বেশ কিছু দাওয়াই বাতলে দেবেন মমতা-অভিষেক।কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের তরফে এই সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে উৎসবের আমেজ। তাই তার পর আর কোনও দলীয় কর্মসূচি পালন করতে নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: এক ডায়েরির সূত্রেই উঠে আসে মলয়ের নাম, মারাত্মক অভিযোগ তুলল সিবিআই
তার আগেই কর্মীদের বেশ কিছু বার্তা দিতে চান মমতা ও অভিষেক। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলার সঙ্গে বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সী। একাধিক সাংগঠনিক জেলায় ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে বুথ কমিটি গঠন। বহু জেলায় বদল হয়েছে সাংগঠনিক মুখ৷ এই অবস্থায় পুজো বা উৎসবকে ব্যবহার করে কীভাবে জনসংযোগে যেতে হবে তা দলের কর্মীদের কাছে বুঝিয়ে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে করতে হবে এই বার্তা আগেই দেওয়া হয়েছিল। এবার সরাসরি প্রচার মুখ থেকে শুরু করে মানুষের ঘরে ঘরে যাওয়ার কারণ কী তা সকলের সামনে জানিয়ে দেবেন মমতা-অভিষেক৷