ঘটনাস্থল ভবানীপুর, এখানেই প্রচারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ((Mamata Banerjee) শুক্রবার মন্তব্য করেন, "সিপিআইএম বাংলায় কত বছর রাজনীতি করেছে?৩৪ বছর। কত অন্যায় করেছে? ওদের বিরুদ্ধে সিবিআই মামলা করেছে? কিছু বলেনি। শুধু চিদাম্বরমের গায়ে হাত দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসের মাথার গায়ে হাত দেয়নি।"
আরও পড়ুন-নিজের জমানাকে দরাজ সার্টিফিকেট, ভবিষ্যতের বাহারি স্বপ্ন-বিপ্লব দেবের মন কি বাত...
advertisement
উল্লেখ্য ঠিক একদিন আগেই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের জোড়া সভা থেকে কংগ্রেসকে কোনঠাসা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলই বিজেপি-কে হারাতে চায়। কিন্তু তফাত একটাই। কংগ্রেস সব জায়গায় বিজেপির কাছে হারে। তৃণমূল-বিজেপিকে হারায়।"
এসব দেখেশুনে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূল এমন একটি দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন যাদের ছাড়া কার্যত জোট সম্ভব নয়। আবার একথাও সত্য বহু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জোট ছাড়া এই মুহূর্তে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখা মুশকিল। এখান থেকেই প্রশ্নটা উঠছে। তৃণমূল কি তবে বিরোধী ঐক্যেই জল ঢেলে দিতে চাইছে? রাহুল গান্ধিকে নিয়ে অ্যালার্জি কি কমে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছে?
উল্লেখ্য, বামেরা কেন কাঠ গড়ায় নয় এ প্রশ্নও তুলেছিলেন মমতা। সিপিআইএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর যুক্তি, বামফ্রন্ট ৩৪ বছর সরকারের থাকলেও কেউ কালি লাগাতে পারিনি। সিবিআই বা ইডিও লাগানো যায়নি। অন্যদিকে অধীর চৌধুরী বলছেন, জোট সম্ভাবনা যতই জমাট বাঁধছে ততই আতঙ্কিত হচ্ছে মোদি শিবির। তাঁর যুক্তি, এই পরিস্থিতিতে মমতার মন্তব্য বিজেপিকে শক্তিশালী করছে।