এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিদ্যুতের জন্য আট-নজন মারা গেছে। আমি সকালেও সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছি। এটা আমাদের সময় নয়, ওরা বামফ্রন্টের সময় থেকে পেয়েছে। হাওড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার অনেকগুলো অঞ্চল পড়ে। Cesc তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।’’
মমতা বলেন, ‘‘কলকাতায় মারা গেছে আট জন, গ্রামবাংলায় মারা গেছে দু’জন। পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছি সিইএসসি-কে। মৃত্যুর বিকল্প কখনও ক্ষতিপূরণ হতে পারে না।’’
advertisement
আরও পড়ুন: পর পর মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ! পর মুখ খুলল সিইএসসি, বিপর্যয়ের দায় নিল সংস্থা?
যদিও সিইএসসি পাল্টা দাবি করেছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর যে ঘটনাগুলি ঘটেছে, তার মধ্যে অধিকাংশই হয়েছে বাড়ির ব্যক্তিগত বিদ্যুৎ ব্যবস্থার গলদের কারণে৷
সিইএসসি-র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন) অভিজিৎ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের কাছে আট জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। তার মধ্যে পাঁচটি মৃত্যু ঘটেছে বাড়ির ব্যক্তিগত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থেকে তড়িদাহত হয়ে৷ একটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে সিগন্যাল বক্স থেকে তড়িদাহত হয়ে৷ দুটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাস্তার পাশের আলোকস্তম্ভ থেকে তড়িদাহত হয়ে৷’’
বাড়ির ভিতরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থার গলদ থাকলে তাদের পক্ষে তা জানা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন সিইএসসি-র ওই শীর্ষ কর্তা৷ যদিও ঘটনাকে দুঃখজনক বলে স্বীকার করে নিয়ে সিইএসসি-র ওই শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, সংস্থার পক্ষ থেকে যা করার করা হবে৷
এদিন কলকাতার জলমগ্ন হওয়ার ঘটনায় মেট্রো কর্তৃপক্ষের উপরেও দায় বর্তান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘বর্ষা এবার তাড়াতাড়ি এসেছে, পুজো এবার তাড়াতাড়ি এসেছে। Nkda থেকে বলা হল মেট্রোর কাজ হচ্ছে তাদের সব জিনিস পড়ে গিয়ে নালা নর্দমা বন্ধ করে রেখেছে। এটা দায়িত্ব তাদের নিতে হবে যারা দিনের পর দিন জিনিস ফেলে রেখেছে। আপনারা বলুন যাতে উনারা দায়িত্বশীলতার ভূমিকা নেয়।’’
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টেও CESC-র উপরে অবহেলার অভিযোগ তোলেন মমতা৷ লেখেন, ‘আজ CESC-র অবহেলায় কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের পরিবারের জন্য আমাদের আন্তরিক সমবেদনা। মৃত্যুর কোনো ক্ষতিপূরণ হয়না, জীবনের কোন বিকল্প হয় না। তবুও আমরা প্রতি পরিবারের একজনের চাকরি নিশ্চিত করব। ক্ষতিপূরণ দিতে বলছি CESC কে-ও। আমি CESC-র সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের আন্তরিক সমবেদনার পাশাপাশি এই ক্ষতিপূরণ-ও পরিবারগুলির প্রাপ্য’৷
সব শেষে মমতার পরামর্শ, ‘‘আমরা দুঃখিত ও মর্মাহত এই দুর্যোগটা পুজোর সময় হচ্ছে বলে। সবকিছু হাতে থাকলেও মনে রাখবেন প্রকৃতি হাতে থাকে না। একটা গ্লোবাল ক্যালমিটি চলছে। সবাই ভালো করে পুজো করুন। সতর্কতা অবলম্বন করে। যাতে ইলেকট্রিকের তার ঠিক থাকে। আমাদের স্টেট্ এর যেটা আছে সেটার কোন সমস্যা হয়নি।’’