বুধবার CAA-NRC-এর প্রতিবাদে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামফ্রণ্ট সমর্থিত কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি ৷ এই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেসও ৷ আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল CAA-NRC বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন করলেও ধর্মঘটকে সমর্থন করা হবে না ৷ ‘কখনও ট্রেনের নীচে বোমা রেখে কখনও গায়ের জোরে বনধ সফলের চেষ্টা ৷ এভাবে রাজনীতি হয় না ৷ সস্তায় পাবলিসিটি পেতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে সিপিএম ৷’ বাম-কংগ্রেস ধর্মঘটীদের এই ভাষাতেই এদিন তুলোধোনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
advertisement
একইসঙ্গে ধর্মঘটীদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর বরদাস্ত করা হবে না ৷ ধর্মঘট পালনের নামে বাস-গাড়িতে ভাঙচুর চালালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত তেকেই আন্দোলনকারীদের দাদাগিরি-ভাঙচুরের ছবি সামনে এসেছে ৷ ধর্মঘটে অগ্নিগর্ভ মালদহের সুজাপুর। সকাল থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ ধর্মঘটীদের। অবরোধ তুলতে পুলিশি লাঠিচার্জ। পাল্টা পুলিশকে লক্ষ করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ। ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতে। পরপর গাড়িতে আগুন ধরানো হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ। অন্যদিকে, আতঙ্ক ছড়াতে বারাসতের হৃদয়পুরে রেললাইনে বোমা রেখে দেয় ধর্মঘটীরা ৷ পরে আরপিএফ ও জিআরপি এসে বোমা নিষ্ক্রিয় করে।