এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে৷ অসমের উদাহরণ দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বাংলাতেও রাহুল গান্ধির কর্মসূচিতে কিছু দুষ্কৃতী বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে তাঁর কাছে খবর রয়েছে৷ রাহুল গান্ধির পদযাত্রা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে মুখ্যমন্ত্রী যাতে রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সেই অনুরোধ করেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে৷
advertisement
আরও পড়ুন: চড়েন রাষ্ট্রপতি, পাকিস্তানকে টসে হারিয়ে এই ঘোড়ায় টানা গাড়ি পেয়েছিল ভারত!
ঘটনাচক্রে এ দিনই জলপাইগুড়ি জেলায় রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস৷ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মল্লিকার্জুন খাড়গে লিখেছেন, আমার কাছে খবর এসেছে, বাংলাতেও রাহুল গান্ধির পদযাত্রায় কিছু দুর্বৃত্ত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে৷ পদযাত্রা চলাকালীন রাজ্য প্রশাসনের বদনাম করাও এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হতে পারে৷ আপনার কাছে আমার অনুরোধ, বাংলায় এই কর্মসূচি চলাকালীন রাহুল গান্ধি সহ পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনি যথাযথ নির্দেশ দিন৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পর থেকেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হচ্ছিল৷ মল্লিকার্জুন খাড়গেও চিঠিতে লিখেছেন, আপনার সঙ্গে গান্ধি পরিবারের সুসম্পর্কের বিষয়ে আমি অবহিত৷ আমি জানি, আপনি নিরাপত্তা জনিত কোনও সমস্যাই হতে দেবেন না৷ তবু ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টি আপনাকে জানানো উচিত বলেই আমি এই চিঠি লিখলাম৷
কয়েক দিনের বিরতির পর আগামিকাল থেকে ফের জলপাইগুড়ি থেকে রাহুল গান্ধির ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা শুরু হবে৷ তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের ফের দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার পর এ রাজ্যে রাহুল গান্ধির কর্মসূচি নির্বিঘ্নে হয় কি না, সেদিকে সবারই নজর থাকবে৷ রাহুল গান্ধিও তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেন কি না, তা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে রাজনৈতিক মহলের৷
তবে খাড়গের এই চিঠির অন্য রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের৷ কারণ, নীতীশ শেষ পর্যন্ত বিজেপির হাত ধরলে ইন্ডিয়া জোট যে অনেকটাই দুর্বল হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এই অবস্থায় মমতার মন জয়ে মরিয়া কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ রাহুলের পদযাত্রা নিয়ে তাঁকে কিছু না জানানোর অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা৷ নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে আসলে কংগ্রেস সভাপতি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সেই ক্ষোভ প্রশমনেরই চেষ্টা করলেন বলে মনে করা হচ্ছে৷ এই চিঠিতে কংগ্রেস নিয়ে মমতার মনোভাব বদলায় কি না, সেটাই দেখার৷