বুধবার কলকাতা বস্তি উন্নয়ন পরিষদের তরফ থেকে আবু সুফিয়ান একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে এসে কলকাতা কর্পোরেশনের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্য বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ বলেন যে, এই বছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে লকডাউনের জন্য প্রচুর মানুষ ঘরের বাইরে যেতে পারেন নি। শহরের বিভিন্ন বস্তি,গোডাউন ও স্টেশন,বড় হাসপাতাল রয়েছে। যেখানে প্রচুর শ্রমিক ও মানুষ একসঙ্গে অনেকে শুয়ে থাকে।
advertisement
পুরসভার তরফ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল।সেই সময় তাদের রক্তের নমুনাতে নতুন ধরনের ম্যালেরিয়া পাওয়া গেছে। যার নাম ফ্যালসিফেরাম ম্যালেরিয়া। তবে এই ভাবে ম্যালেরিয়া বেড়ে যাওয়ার জন্য তিনি মূলত দায়ী করেছেন, রোগীদের সচেতন না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে।
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শোরগোল ফেললেন দিলীপ ঘোষ! সব নজর ঘুরে গেল ফিরহাদ-মলয়ের ঘরের দিকে
তিনি বলেন, ''বেশির ভাগ রোগীর ম্যালেরিয়া হওয়ার পর হাসপাতালের পনেরো দিনের মেয়াদের ওষুধপূর্ণ করে না। তারা কয়েকদিন ওষুধ খাওয়ার পর, জ্বর কমলেই আর ওষুধ খায় না। ফলে দেহের রক্তে ম্যালেরিয়ার জীবাণু থেকে যায়। তার ফলেই ম্যালেরিয়ার জীবাণু বেশি করে ছড়াচ্ছে।এমনও রোগী পাওয়া গেছে, যাদের শরীরে ম্যালেরিয়ার কোনো উপসর্গ নেই।'
আরও পড়ুন: 'দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী...', আরও বড় 'বিস্ফোরণের' ইঙ্গিত দিলেন তথাগত রায়!
অতীন ঘোষ এও বলেন, ''পুরসভার পক্ষ থেকে রক্ত পরীক্ষা করে ৬৮ শতাংশ থেকে এখন ১৯ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এখনও যে যে জায়গাতে জল জমে আছে সেগুলোর বিষয়ে খোঁজ চালাচ্ছে পুরসভা। যদি জল জমে থাকে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যার ফলে এবার ডেঙ্গুর শতাংশ গত বারের থেকে ৬৮ শতাংশ কম। এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১০০০ হাজার।'' তবে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, করোনা নিয়ে যথেষ্ট সজাগ বলে জানান অতীন ঘোষ।