অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) আগেই অভিযোগ করেছিলেন অন্যান্য অনেক বিষয়ের মত জীবনদায়ী ভ্যাকসিন নিয়েও তৃণমূল (AITMC) এ বার সিন্ডিকেট ব্যবসা শুরু করেছে। এ দিন আরও একধাপ এগিয়ে দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু দাবি তোলেন, সিবিআই তদন্তের। তাঁদের মতে জীবনদায়ী ভ্যাকসিন নিয়ে যে দুর্নীতি চলছে তার সমাধানের জন্য অবিলম্বে সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন। যদিও তৃণমূল এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ।
advertisement
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে সংসদ তথা কলকাতা পুরসভার বিদায়ী চেয়ারপার্সন মালা রায় তাঁর দিল্লির বাসভবনে বসে জানান, "বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, পুরসভার স্থানীয় প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষই বিষয়টি সামনে আনেন। তিনিই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও প্রতারিত হয়েছেন। তাই বিজেপি'র অভিযোগ এবং এই দাবি নেহাত ভিত্তিহীন। পুরো ঘটনার তদন্তও হচ্ছে সঠিকভাবেই। মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও এর যথাযথ তদন্ত হচ্ছে। কেউ জড়িত থাকলে নিশ্চয় শাস্তি পাবেন।"
তবে ভুয়ো ভ্যাকসিন-কাণ্ডে তদন্তের জন্য সিবিআইকে তদন্ত করতে হবে, এমন বিষয়টিকে তিনি গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ। তাঁর মতে, "সব বিষয়ের জন্য যদি সিবিআই তদন্ত করা হয়, তাহলে সিবিআইয়ের গুরুত্ব কমে যায়।" আরও একধাপ এগিয়ে মালা রায় বলেন, "এই মুহূর্তে বিজেপির নিজেদের দলের জন্যে সিবিআই তদন্তের বেশি প্রয়োজন। কারণ ভবিষ্যতে কতজন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, সেটা নিয়ে আগে সিবিআই তদন্ত করাক বিজেপি।"
Rajib Chakraborty