মঙ্গলবার বিকেল থেকে আশা-আশঙ্কার দোলাচলে ছিলেন মন্ডল পরিবার। ব্রিজ বিপর্যয়ের পর যত সময় পেরিয়েছে কমেছে আশা ৷ বুধবার বিকেলে অন্য নিঁখোজ শ্রমিক প্রণব দে’র মৃতদেহ উদ্ধারের পরই শেষ হয়ে যায় সব আশা ৷ বৃহস্পতিবার সকালে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে বের করে আনা হয় গৌতম মন্ডলের দেহ ৷
আরও পড়ুন
advertisement
পরিবারের হাল ফেরাতে কলকাতায় মেট্রো রেলের কাজে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদের লালবাগের বড়ারপাড়ার বাসিন্দা গৌতম মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তোতন। বাড়ি এসেছিলেন গত সপ্তাহে। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে কথাও হয়। বিকেলে কাজের ফাঁকে রান্না করছিলেন গৌতম। তখনই নেমে এল বিপর্যয়। দুর্ঘটনার পর থেকেই নিঁখোজ ছিলেন তিনি ৷ দুঃসংবাদটা বাড়িতে ফোন করে মা-কে জানান তোতনই। তারপর থেকে আর দু চোখের পাতা এক করতে পারেননি অনিতা মণ্ডল। শেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে গেল এদিন ৷
মাঝেরহাট ব্রিজের ভেঙে পড়া অংশে এখনও চলছে উদ্ধারকাজ ৷ উদ্ধারকাজে এনডিআরএফ, দমকল ও পুলিশ ৷ যদিও ধ্বংসস্তূপে আর কেউ আটকে নেই বলেই অনুমান বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৷