সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুত্র। নদিয়ায় সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়, সকলের প্রিয় ‘জলু বাবু’র প্রভাব দীর্ঘদিনের। তাঁর পুত্র সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ২০০১ সালে নদিয়া নাকাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন অবশ্য, তবে হেরেও ছিলেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়কে পদ্ম পুরস্কারে ভূষিত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর থেকেই জল্পনা চলছিল এ নিয়ে। ফলে কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রর সঙ্গে সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের লড়াই হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও মাঝে একটা সময় কৃষ্ণনগরে প্রার্থী হিসেবে মিঠুন চক্রবর্তীর নামও আলোচনায় আসে বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কোটি টাকার ডিল!’ বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিস্ফোরক অনুপম হাজরা! নিশানায় কোন প্রার্থী?
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে খাস কলকাতাতেই বড় ধাক্কা খেতে চলেছে তৃণমূল? সূত্রের খবর, বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়কে নিয়ে সেরকমই আশঙ্কা ছড়িয়েছে শাসক দলের অন্দরে৷ কারণ ইতিমধ্যেই বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মহলে দল ছা্ড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর৷ তাপসের দল ছাড়ার জল্পনার মধ্যেই কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে৷
আরও পড়ুন: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কি বিজেপিতে? প্রার্থী হবেন? শুভেন্দুর ৭ মার্চ নিয়ে জল্পনা
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা উত্তর নিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি কাটছে না৷ আগেই সুদীপকে প্রার্থী করা নিয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন কুণাল ঘোষ এবং তাপস রায়৷ সুদীপকে প্রার্থী করা হলে তিনি প্রচারে নামবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক৷ সূত্রের খবর, তাপস রায় তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভার প্রস্তুতির কোনও দায়িত্বই নিতে পারবেন না তিনি৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তিনি কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দলীয় নেতৃত্বকে সেই বার্তাই ফের পৌঁছে দিলেন তাপস৷ জানুয়ারি মাসে বাড়িতে ইডি হানার পর থেকেই তাপস রায় দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন বলে খবর৷ এমন কি, গত ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে তিনি নিজের কেন্দ্র বরানগরেও যাননি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর৷
