স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথমে বরুণ মণ্ডল ও চিরঞ্জিত মিত্রের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এর পর চিরঞ্জিত মিত্র তার ভাই শুভঙ্কর মিত্রকে ডাকে এবং দুই ভাই মিলে বরুণকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে বরুণ মণ্ডল। স্থানীয়রা তাঁকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে। এর পরই বরুন মণ্ডলের পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং খবর দেওয়া হয় জিনজিরা বাজার তদন্তকেন্দ্রে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বরুণকে উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। এলাকায় বরুণের মৃত্যুর খবর আসতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে মহেশতলা থানার পুলিশ ও RAF। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানায় স্থানীয়রা। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
advertisement
আরও পড়ুন:সাগরে ঘনাচ্ছে নিম্নচাপ ! সপ্তাহান্তে বঙ্গে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই ভাই চিরঞ্জিত মিত্র (৩৯) এবং শুভঙ্কর মিত্র(৩২) কে আটক করা হয়েছে। ঠিক কী কারনে গোটা ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা যায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১ টা নাগাদ স্থানীয় কালীপুজোর মণ্ডপের সামনে নাচ-গান করছিল স্থানীয়রা। হঠাৎ নিজেদের মধ্যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তীব্র বচসা বাঁধে। বরুণের বুকে লাথি মারা হয়, তার পর চলে ক্রমাগত এলোপাথাড়ি মার। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বরুণ। বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, চিরঞ্জিতের পরিবার নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের সাথে কারও ভালো সম্পর্ক নয়। অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে পুলিশ পোস্টিং রয়েছে।